সৌমেন্দ্র দত্ত ভৌমিক
লেখক পরিচিতি
—————————
নাম : সৌমেন্দ্র দত্ত ভৌমিক
জন্মকাল ও স্থানঃ ১৮-০৩-১৯৫৮, হাওড়া জেলা হাসপাতাল। অবসরপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সরকারী আধিকারিক।
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ M.COM (Calcutta University)।
লেখার বিষয়ঃ কবিত/ছড়া/গল্প/অণুগল্প/কিশোর-গল্প/রম্যরচনা/ভ্রমণকাহিনীইত্যাদি। সাহিত্য একাডেমী, নতুন দিল্লী থেকে প্রকাশিত “WHO’SWHO OF INDIAN WRITERS”-এ অন্তভূর্ক্ত।
লেখালেখিঃ এখনো অবধি ২৩৭-টির বেশী পত্র-পত্রিকায় আমার বিভিন্ন রচনা বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম লেখা (কবিতা) প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৭৮ সালে অধুনালুপ্ত “ভাবী যুগ” পত্রিকায়।
প্রকাশিত বইঃ ১৪টি। সেগুলোঃ আঁধার গোলোক (কবিতা),হে মহাধরণী (কবিতা),ভুখা জমিনে একাকী (কবিতা),সরব দিনলিপি (কবিতা),গড়নে ভাঙনে এক মনে (কবিতা),ছড়ায় বাঁধা গাঁটছড়া (ছড়া),ঋতুর নামে ছড়ার ধামে (ছড়া), ছেলেমেয়ের গল্পমালা (১ম খণ্ড),ছেলেমেয়ের গল্পমালা (২য় খণ্ড),সেরা সেরা বারো ভূত (কিশোর-গল্প),রম্যাণু (রম্যরচনা ও অণুগল্পের সংকলন),অল্প-টল্প গল্প মালা (অণুগল্পের সংকলন),বিশ্বসেরা কোটেশন সমগ্র(সংকলন ও সম্পাদনা)।
সম্মাননাঃ অনেক সাহিত্য সংস্থা থেকে স্মারক সম্মান পেয়েছি। তণ্মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য “বিভূতিভূষণ স্মৃতি পুরষ্কার-২০১৮”, “জীবনানন্দ স্মৃতি স্মারক সম্মান-২০১৯”, “বাংলার গৌরব মাইকেল মধূসুদন সম্মান-২০২০” এবং “শরৎ পদক”, “দুই বাংলা স্মৃতি সম্মান-২০২২” ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর স্মৃতি সম্মান, অপরাজিত সম্মাননা-২০২৪, “কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র পদক” ইত্যাদি।
লেখকের সৃষ্টি
স্বখাতসলিলে || Soumendra Bhowmick
দুরবস্থার সাত কাণ্ড দাঁড়িয়ে কাঠগড়ায় |আমাদের প্রতি-ই উদ্যত তর্জনী!কানমলার পর
অকালপক্ক চোখ || Soumendra Bhowmick
পিঠে কুলো বেঁধে পথ খুঁজি।ধামাচাপা দীর্ঘ অবসাদবিষন্ন প্রবাসী হৃদয়ে,এই জগতের
পণ্য : প্রকৃতি || Soumendra Bhowmick
বিকিয়ে যাচ্ছে জমি আরশ্যামল হাতছানি।মরতে মরতে খাঁড়ার ঘালোভের সাথে ভাব
আবর্জনায় সাম্যবাদ || Soumendra Bhowmick
দলবদ্ধ আবর্জনায় কঠিন বাঁধুনি কঠিনতর হলোনৈরাজ্যের দোসর হয়ে…….সেই নরকগুলজারে কৃষ্ণের
অজ্ঞাত কারণজাত || Soumendra Bhowmick
এমন অপরিসর জমিতে আঁচড় কাটারকোনোই ছিল না প্রয়োজন ,এই ক্ষুব্ধ
নির্দিষ্ট পথ || Soumendra Bhowmick
করতালি কর্ণকুহরে এতবার সাড়া জাগিয়েছেমন তবু অবিচল সৈনিক-আনন্দের মস্করায় পিছলপথ
সংযমের শান্তসাগর || Soumendra Bhowmick
হুল ফোটাতে মৌমাছিরাসর্বাঙ্গেই মধুভান্ড নিয়ে এলো তেড়ে।প্ৰশান্ত সংযম বাঁধটা দেখেদিব্যকান্তি
ব্যর্থ তীরন্দাজ || Soumendra Bhowmick
যেদিকে ছিল তীরের আন্দাজ মনস্বী আচরণেতোমার কার্যকারণেএলোমেলো কিছু বাতাস বয়
অবিরত || Soumendra Dutta Bhowmick
দাঁড়ি,কমা,হাই-ফেন,সেমিকোলন প্রত্যেককেইদিলাম সবেতন লম্বা ছুটি।বেগবান লোভী মানবিকতা সময়ের হাতধরে দেয়
নগ্ন হাওয়া || Soumendra Dutta Bhowmick
উলঙ্গ হাওয়ায় যতই ছুঁড়িহাত-পা আর সারা দেহএকজনও আসে না কাছেদেখায়
নিরহঙ্কারী || Soumendra Dutta Bhowmick
আমিত্বে’র থেকে অনাবিল ললিত উত্তরণেসুখ যেন ওড়ে পতপত সঠিক নিশানায়…,মন
মিশুকে || Soumendra Dutta Bhowmick
মিশুকে হাওয়ায় উঠলে জেগেমন পায় ক্ষুরধার গতিবুদ্ধি এখানে নিছক খেলনাসময়টা
অকাজে মগ্নতা || Soumendra Bhowmick
কর্মনাশা দিনগুলোতে প্রেতাত্মারা ভর করেঅস্থির মগজের কেন্দ্রালয়ে।কেন্দ্রে ছিল শান্তির মহান
দিশা || Soumendra Dutta Bhowmick
চোখে সর্ষেফুলের অক্লান্ত মিছিলে হেঁটে হেঁটেওসংগ্রামে নাকাল নয় মন ও
সংশোধনী || Soumendra Dutta Bhowmick
হিমেল বায়ু মারছে চাটিভাবছি এখন অনাচারীকি করে যে হলাম পাপীপাল্লা
বিড়ম্বিত || Soumendra Dutta Bhowmick
বিড়ম্বনার সাথে দুদণ্ড সময় দারুণ জিরিয়েঅচিরেই উনি মস্ত ফোলা এক
স্বাস্থ্যবান || Soumendra Dutta Bhowmick
বনেদি সময়ে অভিজাত চেহারায় চারপাশটা ঝলমলে আনন্দ -প্রসূতি , এখন
আরো আরো স্বর্ণরেণু || Soumendra Dutta Bhowmick
আরো আরো স্বর্ণরেণু চেয়েছি দুর্ভিক্ষের কাছে নতজানু হয়ে , একেক
কুস্মৃতির পাড়ায় || Soumendra Dutta Bhowmick
মুছে যাওয়া স্মৃতিগুলো আবার এসেছে জ্বালাতেবন্ধুর পথ জাগে এভাবে জীবন-জোড়া
ঝেঁপে নামল পাপে || Soumendra Dutta Bhowmick
ছদ্মবেশী পাপের আদেখলা ঘন চুম্বনেভূ-কম্পন হ য ব র ল
শূন্যের আঁতুড়ে || Soumendra Dutta Bhowmick
শূন্যতার আঁতুড়ঘরে প্রসব আরেক নবজাতকের!পুনর্বার কান্নার বহুল ঘূর্ণিপাকেঅন্তরটা ফালা-ফালা !শূন্যতায়
না-নাগরিক-না! || Soumendra Dutta Bhowmick
বিতাড়নের হরেক ছলায়নাগরিকত্ব আজ বিপন্ন,দুধকলায় কিনা সাপগুলোপুষেছিল রাজ নিজের জন্য?পায়ের
তল্লাটে তল্লাশি || Soumendra Dutta Bhowmick
পূব-পশ্চিম-উত্তর-দখিন মননের তল্লাটেভয়াল অগ্নি-আকাল !শীতলতা যেন আণ্টার্কটিকা থেকে নবাগত-উড়ে উড়ে
প্লাবনের মহাভোজ || Soumendra Dutta Bhowmick
জীবনরূপী জলের মহাতোড়ে আচমকা বানভাসিজনপদ মাঠ-ময়দান!কেন কেন এত ক্ষুব্ধ কাছাখোলা
সংগ্রামের হাতিয়ার || Soumendra Dutta Bhowmick
সংগ্রামের হাতিয়ার চারপাশটা অক্টোপাসের মতন জড়িয়ে আছে দারিদ্রতা।এই গরীবিআনায় নাভিশ্বাস
অকথন || Soumendra Dutta Bhowmick
না-বলা কথারা যেন আগ্নেয়গিরিরফুটন্ত লাভাস্রোত !কথনের ইচ্ছেটাকে লাগাম পরিয়ে উচ্চ
খিদে-টিদে || Soumendra Dutta Bhowmick
খাই খাই আপাদমস্তকে জিরান-আয়োজনঢিল ছোঁড়া দূরে যায় থমকে!মেটার পরও মিটল
দোজখে পড়ছি ঝুঁকে || Soumendra Dutta Bhowmick
দোজখের হাঁ-য়ের নেইকো কোনো জুড়ি!সেথায় সুবাসের জমাটি সংলাপেমাতলামো যেন প্রাণ-সখা,
ঝুঁকি দেয় উঁকি || Soumendra Dutta Bhowmick
উত্থান-পতনে মানুষ আর শেয়ার-দরমুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ|ঝুঁকি-ই যেন নিজ-সখী দুজনার যোগাযোগে,উচ্ছ্বাসে সুসময়ে
ফোবিয়ায় || Soumendra Dutta Bhowmick
বিপত্তির আমন্ত্রণে হাউ-মাউ-খাউয়ের মাথাধরা-পালিশ!রাক্ষস আর দানবের যৌথ কুচকাওয়াজেনির্ভেজাল হৃদয়ে শঙ্কার
আদর্শ লড়াকু || Soumendra Dutta Bhowmick
একটা সুপাত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। বয়েস ২৫।কিন্তু মেয়ের বয়েস মাত্র
সিঁড়ি-ভাঙা-অঙ্ক || Soumendra Dutta Bhowmick
ছক কোষে মসৃণতা খোঁজা রক্তকণায় প্রিয়তম সাধ হয়ে কাটাই সুখীকাল।
পাঁক-ভ্রমণ || Soumendra Dutta Bhowmick
হাজারটা নগ্ন চিত্র মার্চপাস্ট করে , হাজারটা ফুল ঝরে অকালে।
তিলোত্তমা-রূপ || Soumendra Dutta Bhowmick
এতদিনের জমানো পুঁজি ঝড়-জল-বর্ষায় তিলোত্তমা-রূপ পেল বিশকর্মার পুতুল কারখানায়। কপালে
অনুত্তীর্ণ || Soumendra Dutta Bhowmick
আউট সুইং ! ভুল ব্যাট চালিয়ে মনস্তাপের জ্বালা আপাদমস্তক, ক্রিজে
জটিলতা || Soumendra Dutta Bhowmick
গুনাগারের অন্তরালে পাড়া-বেড়ানো মেঘেরা অতি সাবধানে ছেয়ে ফেলে বিশাল প্রান্তর
ঘরের শত্রু-মিত্র || Soumendra Dutta Bhowmick
যেভাবে বিভীষণ এসে দাঁড়ায় পথজুড়ে আমার পথে, তখন হারাই নিজস্বতা
ভিন্নতর || Soumendra Dutta Bhowmick
বাঁচনের ভঙ্গিমা আশাপ্রদ নয় উত্তাপে ছাই হয় একগাদা ভুল ,
নির্দিষ্ট পথ || Soumendra Dutta Bhowmick
করতালি কর্ণকুহরে এতবার সাড়া জাগিয়েছে মন তবু অবিচল সৈনিক- আনন্দের
ঘুঙুরের শব্দ কার্নিশে || Soumendra Dutta Bhowmick
কার্নিশের ওপর চলমান একপাল উজবুকবেহুঁশ নাচে কখনো নাস্তানাবুদ নয়,সাহসের বলিহারি