সে যে বুকের ভিতরের
জ্বলে ওঠা আলো,
কখনও লুণ্ঠিত হৃদয়ের
অস্পষ্ট আলপনা।
সে যে আবেশ মন্থর
ধূলিমলিন দেহ,
কখনও স্ফুরিত অধরের
অদম্য স্পৃহা।
সে যে ভাঙ্গা-গড়া জীবনের
অনুক্ষণ ভাঙ্গন,
কখনও স্তব্ধ সময়ের
অবিন্যস্ত সত্ত্বা।
সে যে অন্ধকারের সমর্পণ
অশ্রুস্নাত গোধূলি,
কখনও অবিচ্ছন্ন ভালোবাসায়
কম্পন মৃদু স্পর্শ।
সে যে লাস্যময়ীর আবেগ
প্রেমময় নিঃশ্বাস,
কখনও বৈরিতার অনশনে
উচ্ছ্বাসহীন জীবনানন্দ।
সে যে অনীহার বিপরীতে
প্রত্যাক্ষিত প্রেরণা,
কখনও প্রবল ঝঞ্ঝায় প্রাপ্ত
গভীরতম প্রশ্নের অবকাশ।
সে যে বিষন্ন সূর্যালোকের
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আক্ষেপ,
কখনও নিশ্চিন্ত যৌবনের
ক্লান্তিহীন পদক্ষেপ।
সে যে নিখিল বিশ্বের
নব সৃষ্টির সম্পূরক,
কখনও অজেয় অপরাজিতা
সংকটের পরিত্রাতা।
সে যে আলোর দ্যুতি
তাতেই সমর্পিত জগত,
কখনও সদর্প পদার্পণ
শতগুণে মহাজাগরণ।
সে যে স্বর্গসুখ স্বাচ্ছন্দ্য
বিশ্বের অর্ধেক কল্যাণকর,
কখনও নিজস্ব মূল্যায়নে
নিষ্প্রাণ বক্তা।
সে যে অদ্বিতীয়া অপরূপা
হৃদাসনের শোণিত প্রবাহ,
কখনও ব্যাকুলতার আহ্বান
অক্লান্ত প্রগতির বিজয়ধ্বজা।
সে যে মহিমামণ্ডিত সংস্কার
সন্তুষ্টি বিধ্বস্ত মননে,
কখনও প্রোথিত মনের দর্পণে
অপ্রতুল ধৈর্য্য।
সে যে বসনের আঁচলে
আছড়ে পড়া রোদ্দুর,
কখনও বীরত্বতার রণক্ষেত্রে
দূরদূরান্তের নীড় ।