সেই সব কবিরা কোথায়, যাঁরা একদিন
কবিতা পেতেন পথেঘাটে, আকাশে জমলে মেঘ
যাঁদের খাতার আদিগন্ত ঢেকে বৃষ্টি নামতো
থইথই মাত্রাবৃত্ত স্বরবৃত্তে, থরেথরে ফুটতো কদম
পাতায় পাতায়, ভাসতো পথ হিজলের রঙিন বন্যায়?
কোথায় এখন তাঁরা, সেই সব সহৃদয় কবি,
শিশুর মৃত্যুতে যাঁরা হাহাকার করতেন ছন্দে ছন্দে,
অশ্রুভারাতুর করে তুলতেন বাঁশবাগানের মাথার ওপর
একাকী চাঁদকে, জলে ভরে তুলতেন বুলবুলিটার
চোখ? কোথায় এখন তাঁরা, সেই সব গৃহধর্মী
কবি, ধবলী ফিরেছে কিনা তার জন্যে যাঁরা
উদ্বিগ্ন থাকতেন, আর শুনতে পেতেন কারা যেনো
খেয়াঘাটে ডাকছে মাঝিরে? সেই সব
কবিরা কোথায়, পল্লীজননীর সাথে যাঁরা সারারাত
জেগে থাকতেন মুমূর্ষ শিশুর পাশে,
কোথায় কবিরা যাঁরা পায়ের তলায় ঝরা বকুলের
স্পর্শে উঠতেন কেঁপে আর একাকী বিষণ্ণ
তরুচ্ছায়ে সারাদিন বাজাতেন বাঁশি?
আজকে আমার দেখতে ইচ্ছে করে সেই
সব কবিদের মানবিক মুখ, এবং তাঁদের পদ্যে
শূন্য বুক ভরে নিতে।