তন্ন তন্ন করে খুঁজেছি তাকে, বসন্তের হাওয়ায়, দোলের রঙে, কবিতার পাতায়; খুঁজে পায়নি।
কোথায় থাকে সে? শিশুহৃদয়ের মালকিন!
এ শহরের কোথাও থাকে না, খুঁজতে খুঁজতে চোখে পায়রার ভিটে তৈরি হলে তাকে দেখা যায় পাড়াপুকুর কিংবা বীরভূমগামী ট্রেনে।
আমার বাম হাতে ধারালো কলম, ডান হাতে সূর্যমুখী।
ঠুঁটো হাতে যদি তাকে নিয়ে দুটো কবিতা লিখে যায়, কবিতার দেবী আমায় মাফ করবেন..
যার জন্য যান্ত্রিকতার পৃথিবীতে একটা রূপকথার চরিত্র, একটা যত্ন নেওয়া আদুরে কল্পতরু আমি উপহারে পেয়েছি,
তার সৌন্দর্য্যের কাছে, তার স্বল্প-দৈর্ঘ্যের চুলের কাছে রেখে যেতে চাই অসংযত কবিতা যা-কিছু, পায়ের কাছে রেখে যাবো ধারালো কলমটা।
কারণ এই সেই,
এই সেই আদূরে রূপকথার চরিত্র যার ছোঁয়ায় হেলান পেয়েছে আমার মত ক্লান্ত পিঠের মানুষেরা;
যার ছোঁয়ায় একদিন বৃষ্টিমুখর নিম্নচাপে প্রাণ ফিরে পেয়েছিল সহস্র সূর্যমুখী।
আজ চেতনাউদ্ভূত কবিতায় আমি যদি তার নাম রাখি সূর্যমুখী? ভুল হয়ে যাবে না তো..