সে এলো কুসুম কুসুম ভোরে
নদী তীরে
শুভ্র বসনে শিশিরের ঘ্রাণ।
শরীর জুড়ে গির্জার ঘন্টার ধ্বনি, মন্দিরের ওঙ্কার, মসজিদের আজান।
স্তব্ধ নদী ভাবে, কোন মুদ্রায় শুরু করবে সে তার নাচ?
কোন তরঙ্গ তুলে কোন হিন্দোলে কি ফোঁটাবে আজ?
শাড়ির আঁচল সরিয়ে প্রকৃতির কাছে জমা রেখে যাবে তার কারুকাজ।
যেই সে আনলো বাইরে
লাফিয়ে সকাল হলো চারধার।
বিস্ময়ে দেখি,
সেই চোখ _ যা খুঁজেই চলেছি এক জন্ম থেকে অন্য জন্মে পুনর্বার।
বিষণ্ণতা এলে মনে, নির্জনে
ছুটে যাই যে দ্বীপে
সেখানেও আজ আলোর মালা ফুঁটে আছে চারধার।
অথচ এখানে কোনো সূর্য ঢোকেনা
নেই কোনো চাঁদের বাহার।
তবু এতো আলো?
সেই চোখ, যার থেকে এই জ্বলজ্বলে আলো।
এক জন্ম পেরিয়ে যাই, খুঁজি সেই চোখ।
যার ছোঁয়া পেলে জীবনে অমৃত আসবে বারবার।
সেই চোখ সবাই খোঁজে সারাজীবন ধরে।
পায় কজন?
আমি যে চোখের অন্বেষণে।
এবার কি পেয়েছি সেই চোখ,
সুচেতনার আঁখির বন্ধনে?