শরৎ শেষে হেমন্তের ডাক
শিশিরের জল শব্দ ধরে,
হিম কুয়াশা আকাশ জুড়ে
ঘাসের ডগায় জলে ভরে।
কত নামে ডাকি তোমায়
শবনম নীহার তুষার বলে,
হাসে মুক্তা ঘাসের আগায়
হীরক জ্যোতির ছটার তলে।
বৃদ্ধ বৃদ্ধা খালি পায়ে
শিশির স্নাত দূর্বা ঘাসে,
হাঁটবে খানিক মজা করে
ছোটো বেলার গল্পে হাসে।
পদ্মপাতায় টলটলে জল
দুহাত ভরে নেবে টানি,
বাটবে চন্দন ভাইদ্বিতীয়ায়
মঙ্গল হবে তাতে মানি।
শিউলি রানি পড়বে খসে
শিশির জলে ঘাসের পরে,
রঙ্গে মাতে জলে ভিজে
স্নান সমাপ্তে বিশ্রাম ধরে।
কার্তিক মাসে হালকা শীতে
কুয়াশাময় মেঘের ফাঁকে
শিশির ডেকে কয় যে কথা
জলে ভেজা ফুলের ঝাঁকে।
ঋতুরানির খেলা কত
বাষ্প বুকে শীতল মেঘে,
বিন্দু বিন্দু ঝরে পড়ে
শিশির শব্দে ওঠে জেগে।
মুক্তা সাজে সেজে ওঠে
রোদের কিরণ নিয়ে বুকে,
অপরূপে শিশির কণা
সুখের চিহ্ন আঁকে মুখে।