সাহিত্যের জন্য কবি, না কবির জন্য সাহিত্য,না পাঠকের জন্য সাহিত্য
আচ্ছা!মেঘ নাহলে কি বৃষ্টি হয়! জল না থাকলে কি জীবন বাঁচে? বাতাস বন্ধ হলে কি প্রাণ আঁকুপাঁকু করেনা? তাহলে,এটাও তেমনি অবধারিত সত্য যে কবির জন্যেই সাহিত্য বেঁচে থাকে।কবিরা আপন হৃদয়ের ললিত মাধুর্য্যে ,অনুভূতির রসে ডুবিয়ে ডুবিয়ে মনমাতানো সাহিত্য রচনা করেন।কবিদের জন্যেই শব্দেরা অলঙ্কারে সেজে ওঠে কবিতা,ছড়াছন্দের অতুলনীয় উপচারে রচিত হয় গল্প,উপন্যাস, ভ্রমণকাহিনী ,গান,গীতি আলেখ্য কতো কি।এই রচনাগুলিই তো সাহিত্যের মোড়কে সেজে ওঠে পাঠকের দরবারে পৌঁছায়।তাহলে,কবি যদি না লিখতো তাহলে সাহিত্যের জন্মই হতো না ,আর সাহিত্য সৃষ্টি নাহলে তো পাঠকের কথাও আসেনা।কারন,সাহিত্যের একমাত্র সমঝদার তো পাঠককূল।তারাই চূলচেরা বিশ্লেষণে সাহিত্যের উৎকর্ষতা বিচার করতে পারে।অর্থাৎ পাঠকের মননশীল দৃষ্টিভঙ্গী ও পঠনক্ষমতাই সাহিত্যের মান নির্ধারণ করতে সক্ষম হয়।আর,সাহিত্য যদি পাঠকের বিচারে শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করে তখন কবিও তার লিখনীর জন্য সমাদৃত হন।
কবিরা সাহিত্যের জনক। কবিরা সাহিত্যকে জন্ম দেন বলেই সাহিত্যের সৃষ্টি আর ,সেই সাহিত্য যখন ঝা–চকচকে মলাটের সাজে অলঙ্কৃত হয়ে বেরোয় তখন পাঠক সেটা আনন্দ সহকারে তুলে নেয়।তাই,কবি বনাম সাহিত্য বনাম পাঠক এই তিনে মিলে একে অপরের পরিপূরক । কবি লিখনীর মাঝে সমাজের সকল রকমের সমস্যা ও জটিলতার দস্তাবেজ তুলে ধরেন, সমাজের বাস্তবচিত্রের সাথে সাক্ষাৎ পরিচয় ঘটান ,ইতিহাস, রাজনীতি,ভৌগোলিক,বিজ্ঞান, যতো কিছু বিষয়ের প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করে দেখান কবি ও সেই বাস্তব ছবির আখ্যান পুরোপুরি তুলে ধরেন লিখনীর মাঝে। সকলেই সমান মানসিকতার মানুষ হতে পারেনা ,তেমনি সকলেই কবিও হতে পারেনা ।কবি হতে হলে চাই একটি সংবেদনশীল মন,তাহলেই সুসাহিত্যের সৃষ্টি হতে পারে।আর সুসাহিত্য টেনে আনতে পারে সমজদার বোদ্ধা পাঠকদেরকে।