সানাই বাজলো…
পণ নিয়ে বিয়ের চল সমাজে বহাল। গভঃ অফিসে সার্কুলার পণ নেওয়া যাবেনা। তবু বিরাট ফর্দ চাপে মেয়ের বাবার কাঁধে। সুমনা মিচকি হাসি দিয়ে ছেলেদের বুড়ো আঙুল দেখায়। মেয়ে পণ করে বসে আছে পণ দিবি না। মেজো পিসি গজগজ করতে থাকে তোর আর বিয়েই হবে না। আমাকে দেখেও শিক্ষে হয় না। দেমাকে পা পড়ে না, বিদ্যেধরী, স্কুলের চাকরী, পণ কেন দেবো, সারা জীবন কুমারী রয়ে গেলাম। মুখপুড়ি দেখেও শিখবি না।
হাসতে হাসতে লালবাতি জ্বেলে গাড়িতে বেরিয়ে যায় সুমনা। কিরকম জেদ, বিদ্যে থাকলেই হবে। দাদা তোমার আশকারাতেই মেয়ে এরকম।
সকলে মেয়ে দেখতে এসেছে, মেয়ে পছন্দ হবার আগে সুমনা প্রশ্ন করেন আপনার যোগ্যতা কি? ইঞ্জিনিয়ার পাত্র মহাশয়, পাত্রী শুধু রেজিস্ট্রি, মালাবদল আংটিবদল, দরিদ্র নারায়ণ সেবার মাধ্যমে, বিয়েতে রাজি এটাই তার পণ। বলুন আপনি রাজি তাহলে শুভ্রস্য শীঘ্রম।
উহু, এত তাড়াতাড়ি কথা দেবো কি করে, আমি আগে হেঁটে পরীক্ষা দিই বেঁকা খোড়া কিনা, চুল টেনে দেখে নাও শালা বাবু পরচুলা কিনা, আগে পাস করি। তারপর আমার আর্জি আছে।
সুমনা মিট মিট করে হাসছে আর তাড়াতাড়ি বলে ওঠে পাস একশো নং পেয়েছেন। এবার বলুন কিসের আর্জি। দুজনকেই রক্ত পরীক্ষা থ্যালাসেমিয়ার করতে হবে, ব্যস।
চমক খাবার পরিস্থিতি, এটাই মনে মনে ভেবে রেখেছে। আজকের দিনে দেখে রাখা দরকার।
সুমনা বলে আমি রাজি।
পরীক্ষাতে ওকে সমনা বলে ফেলে আমি রাজি। বাবা জিজ্ঞেস কর অপরপক্ষকে তারা রাজি নাকি।
রাজি, সানাই বাজলো অতঃপর।