ওষুধের শিশি, থার্মোমিটার ইত্যাদি অপসৃত
আমার শিয়র থেকে। রৌদ্রের বার্নিশে ঝকমকে
সারা ঘর, ছাদের কার্নিশে পরগাছা, কী প্রফুল্ল,
ছড়ায় আপন শোভা। খবরের কাগজের পাতা
টেবিলে দিয়েছে মেলে সারা বিশ্ব। হাওয়া ফিসফিসিয়ে
বলে কানে কানে, ‘তারপর কী খবর? যাক, ফাঁড়া
এ যাত্রা কেটেছে তবে। সাদা পাঁউরুটির মাংসের
ভেতরে প্রবেশ করে রোদ, করে হৃদয়ে আমার।
স্মিত কাঁচা-পাকা চুল কুড়ায় আদর চিরুনির
মধ্য-দিনে, আয়নায় দেখছি সদ্য-রোগমুক্ত মুখ,
পথ্য-সমর্থিত। কী একটা শব্দ হল অকস্মাৎ,
হয়তো পাশের ঘরে। সজনে গাছের কাছে কেউ
দাঁড়িয়ে রয়েছে বুঝি। মাঝে মধ্যে দ্বৈত গুনুনের
ঢেউ ছোঁয় আমার সত্তাকে আপাতত নিরিবিলি
নিজেকে রেখেছি মুড়ে কবিতায় আপাদমস্তক
‘কাল ধর্মঘট হবে’, কখনো মাইকে র’টে যায়,
কখনোবা মিছিলের কলরব রাস্তার ওপারে।
হঠাৎ তোমাকে দেখি, নিবিড় দাঁড়িয়ে আছ একা,
শরীরে মোহন ঋতুরাজ; হয়তো তোমার ঘাটে
এখনও বসেনি কেউ, ভরেনি আঁজলা রাঙা জলে
উল্লসিত ব্যগ্রতায়। এখন তোমাকে দেখে ফের
সদ্য-যুবকের মদির সাহস পেতে সাধ জাগে।