সমুদ্র এখন মাত্র এক হাত দূরে। তোমার সমুদ্রে আমি
পুরুষের পদ্ম স্নান সেরে উঠে এলুম অন্য রোদে শুক মাছের মতো
আমার শরীর। জল ঝরে যাওয়া চোখ সময়ের আঁশটেগুলি
আর একটু কপালে সব দেখা যাবে
বাগান। কটেজ। ভিলা। ফ্লাকসের বোতলে ভরা দুধ।
পাটখোলা মেঘের কাতান কালো মহিষের মতো মেঘ জমছে :
সমুদ্র এখন মাত্র এক হাত দূরে!
আমি করতল ছাতার মতোন মেলে ধরে তোমার শরীর
ঝড় বৃষ্টি রোদ থেকে বাঁচালুম! বিয়ারের ফেনার মতো তুমি
উপচে উপচে কথা বলছ। আমার কানের কাছে…
তোমার পায়ের পাতা চাদরের মতো বালুতে বিস্তৃত।
একটু ছুঁলে সমুদ্রের শেষ থেকে শুরু হয়ে যেতে পারো তুমি!
একটু স্পর্শ করলে তোমার স্তন সূর্য সুন্দরের মতো
লাফিয়ে লাফিয়ে নীল কটিদেশে
আমার আদিম শ্যাওলা যৌনকাতর করে দিতে পারে মেঘে।
হাত মেলে দিলাম তুমি সমুদ্রকে রোখো।
বুক খুলে দিলাম তুমি বিস্তৃত বালুর কণা জলে সিক্ত করো।
মন হয় এগুলোই আমার ভাঙ্গন, শরীরে শরীরে জোড়া লেগে
আর উঠবে না–মনে হয় তুমি এলে সমস্ত সমুদ্র চুলে
সীমাবদ্ধ হয়ে যাবে আমার অস্থির কান, শঙ্খমালা গলা!
মনে হয় সমুদ্রের পাশে তুমি সমুদ্রকে শরীর করেছো!
আমার জলের লোনা স্নানের তীক্ষ্ণতা আজ মাছ হলো তোমার অতলে।