আঙরাভাসা তারপরে এক সময় দিনটাও ফুরিয়ে গেল। আমাদের বাড়ির সামনে

একটি ডলফিন শিশু এবং বলরামের বউ আজ সকালে ঘুম থেকে

ইঁদুরের কল নিরাপদ একজন বাঙালি প্রৌঢ়ের নাম, যার কোনও উজ্জ্বল

সে এবং জীবনানন্দ দাশ এখানে হাওয়ারা হাওয়াদের মতো বয়ে যায়।

ভগীরথ চিৎ হয়ে শুয়েছিল শিবনাথ। পা থেকে চাদরটা কপাল অবধি

হিম আগুন গত কয়েকদিনের মধ্যে গত রাতেই বোধহয় ঠান্ডাটা কট্টর

ভাঙা দাঁত হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতে সোমরার চার মাস কাবার

সল্টলেকের বাড়ি শ্রাদ্ধ-শান্তি চুকে যাওয়ার পর আর কিছু করার থাকে

হঠাৎ হয়ে যায় দক্ষিণের বারান্দায় বেতের চেয়ারে শরীরটাকে ছেড়ে দিয়ে

শেষ ঘণ্টা বেজে গেল যিনি বলেছিলেন লাবণ্য না থাকলে সৌন্দর্য

কুসুম আমি জানি তুমি ভালো নেই এক চৈত্রের দুপুরে জনমানবহীন

শিহরণ শক্তিব্রতবাবু মুখ তুলে কৃষ্ণচূড়া গাছ দেখলেন। এই ভয়ংকর গরমেও

হয়তো পরের পূর্ণিমায় আকাশের দিকে মুখ তুলে দেখছিল সে। রাগি

শান্তিজল তার সুটকেসটা নেওয়ার জন্যে হাত বাড়িয়ে অনুপ বলল, দে।

ললাট লিখন গ্রামের নাম ত্রিশূল। মোটামুটি বর্ধিষ্ণু গ্রাম। কিন্তু জমিদার

তৃতীয় নয়ন পলাশপুরে আমার বাবা কাজ করতেন। ও-অঞ্চলের সমস্ত চা-বাগানগুলোর

জীবনে যেমনটি হয় চিত্তপ্রিয় চ্যাটার্জি অবসর নিয়েছেন বছর ছয়েক হল

তবু জীবন অগাধ তুমি ভুল বুঝলেই নিশ্বাস ভারী হয়। বারোতলা

শিকার কাহিনি আঠারো বছরের এই বাড়িটার মালিক পাণ্ডেজি। অত্যন্ত সজ্জন

অক্টোপাস এই মেঘ অসময়ের। তবু দু-দুটো দিন এঁটুলির মতো লেগে

আশ্চর্য প্রদীপ ঠা-ঠা রোদ্দুরে ছেলেটা হাঁটছিল। শামবাটির খাল পেরিয়ে রাস্তাটা

বদরক্ত দিনরাত ঝুপঝুপ বৃষ্টি তবু মানুষের আসা বন্ধ হচ্ছে না।

খেয়ালি জংশন স্টেশন থেকে দুপুর সাড়ে বারোটার ট্রেন ধরলে ঠিক

রুদ্রায়ণ দুপুর একটু গড়ালেই এখানে ঠান্ডা হাওয়া বয়। সঙ্গে-সঙ্গে চারপাশে

বঙ্গ আমার জননী আমার দোয়েল পাখি দুটোর দিকে তাকিয়ে ইমনের

জনতোষণ আমাদের পাড়ার শিবু ঘোষ এখন ফিল্ম লাইনে ভালো টাকা

হনিমুনে যেমন হয় বিয়ে হয়েছিল শেষ রাতে। বাসরঘরে যেতে-যেতেই আকাশ

চৌকাঠে পা সুড়ঙ্গ দিয়ে ওপরে উঠে এল ওরা। ট্রাম থেকে

গ্রীষ্মকাল এসে গেছে বন্ধ জানলার সামনে দাঁড়িয়ে বিড়বিড় করলেন রবার্ট

প্রতীক্ষার পুরুষ যে ট্রেনের পৌঁছবার কথা বিকেল তিনটেয়, সেটা এল

দায়মুক্ত কয়েকদিন যেতে-না-যেতেই হাঁপিয়ে উঠলেন রজতাভ। কাঁহাতক চব্বিশ ঘণ্টা বাড়িতে

আকাশের আড়ালে আকাশ মাঠঘাট পেরিয়ে ছুটতে-ছুটতে ট্রেনটা বিকেল শেষ করে

জোড়া পা কেউ একজন সাইকেলে এসে গাছতলায় বলে গেল, লাইনের

বুঝেসুঝে বেঁচে থাকা কর্তামশাই জমিটা কিনে দিয়ে বলেছিলেন, ‘হারা, সারাজীবন

পরিবর্তিত পরিস্থিতি রিকশায় বাড়ি ফিরছিলেন অবনীমোহন। তাঁর বাঁ-দিকে বাসব বসে

তিন পবিত্র আত্মা এবং চোরাপথে অপ্সরা সরকারি হাসপাতাল হলেও ঘরে

কালরাত্রি টিফিনের সময় ক্লাসে কেউই থাকে না। কাত্যায়নী টিফিনের বাক্স

টাটকা বরফের মাছ ঠিক তিনদিনে মুকুন্দর গায়ের চামড়া মোটা হয়ে

জঠর কুঁচকে যাওয়া পাটসিলকের ঝোলা পাঞ্জাবি খাটো ধুতি আর প্রায়

ভিত মজবুত এখনও এই পরিবারের সদস্যসংখ্যা আঠারো। কাজের লোকদের ধরলে

প্রতিপালন কি আশ্চর্য, তোমার ওই মিডল ক্লাস মানসিকতা এখনও গেল

রক্তমাংসের স্বামী বিয়ের তিন মাস বাদে এক সকালে চা খেতে-খেতে

পুতুলের খেলা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একজন বড় অফিসারকে ধরে দিল্লির বঙ্গভবনে

সন্ধেবেলার মানুষ পরদা উঠলে দেখা গেল মঞ্চ অন্ধকার। কয়েক মুহূর্ত

চর, শহর এবং একটি বেকুফ দিনরাত এখানে হাওয়া উথালপাথাল হয়।

ভাসানের সুরে বোধনের গান এই বাড়িটা তার পিতামহের তৈরি। সেকেলে

বর্ণপরিচয় তারাপদ বিশ্বাস, হৃদয়পুরের তারাপদ বিশ্বাসের মাথায় ব্যাপারটা কিছুতেই ঢোকে

মানুষের মতো এই বাড়ি ওর। মাঝে-মাঝে নিজের কাছেই কেমন অস্বস্তিকর

রঙিন জামা এবং সাদা গেঞ্জি সুধা বলেছিল, পুরুষজাতটাকে বাপু কোনওদিন

বন্ধুর মতো ট্যাক্সির ভাড়া মিটিয়ে দিয়ে রঞ্জন বলল, এই বাড়ি।

সাংসারিক পনেরো দিন বাড়িটা মিস্ত্রিদের হাতে ছেড়ে দিয়ে গেস্টহাউসে থাকতে

ঠাকুর, থাকবি কতক্ষণ চেয়ারে বসে দুলছিল দ্বিজদাস। সেই ভোররাত থেকে

আঁচড় এখন দিনদুপুরেই বাড়িটাকে ভূতুড়ে বলে মনে হয়। এই বাড়ির

দুলতে-দুলতে যাওয়া বাড়িটা খুঁজে বের করতে বেশ সন্ধে হয়ে গেল।

স্বামীর আত্মা সকালবেলার সদ্য চায়ের কাপ শেষ করেছে সৌরভ, বেল

পত্ৰজাত প্রেম সকালের ডাকে চিঠিটা এসেছিল। অফিসে বেরুবার সময় লেটার

দেশলাইয়ের বাক্স এবং নির্বারুদ কাঠি সিগারেটের তামাক সরু তার দিয়ে

যুদ্ধক্ষেত্রে একজন ছয় ক্রোশ কাদা ভেঙে জোড়খালি গাঁয়ে বাইরের লোক

মানুষের মেটে এতকাল বাবুর যত রোগ ছিল মনে, এবার শরীরেও।

জিয়োনো মাছ চা চুরির জন্য চাকরিটা চলে গেল বংশীর। অথচ