ভেদ করে বস্তুর বিমল ত্বক সময়নিমগ্ন শির শহরের উঠছি শূন্যের দিকে
আস্বপ্নশরীর এক জলোচ্ছ্বাস সবুজ রঙের, জনতারণিত কংক্রিটের শক্ত বেদীমূলে,
ফোটাই আঙুলে স্পর্শে পল্লবের পাতালে-লুকোনো সোনা, শাদা-লাল-হলুদ ঊর্মিকে
ছড়াই সৌগন্ধ্যচূর্ণ কালস্তরে সবুজ খামের শোভাময় অন্তর্লোক, স্তর, ভাঁজ খুলে খুলে
তোমার উদ্দেশে অশ্রুভারাতুর বিরহী পাথর। এ-স্ট্রিট প্রবহমান অনন্তের কূল
যে-নদীর স্রোত তার ঢুকেছে স্মৃতিতে, পাথুরে ভূভাগপ্রিয় জল বয়ে যায় অতল নিভৃতে
বস্তুর প্রাণীর শোকী সময়ের। নিশ্চিত জেনেছি–আমি এক ভুল বৃন্তে আন্দোলিত ফুল,
তবুও সৌগন্ধ্যে মাতে রক্তমাংস, এবং একটি পদ্মের দোলা কিছুতে থামে না ধমনিতে।
ইস্পাতে ধাতুতে সময়ের চিৎকারে থাকি বস্তু ও প্রাণীর সংগোপন সকল ক্ষরণে
অনশ্বর সাক্ষ্য হ’য়ে, গড়াই ভবিষ্যে-ভূতে সময়ের সহযাত্রী ধাবমান নৈসর্গিক চাকা,
উড্ডীন সকল স্তম্ভে সময়ের সকল চূড়োয়, শিশুর জন্মোৎসবে বৃদ্ধের মরণে
পল্লবে সবুজ জলস্তম্ভে,–প্রত্যেক কালের দীপ্ত ব্যক্তিগত নিজস্ব রঙিন মৌলিক পতাকা।