আমার শতাব্দী প্রাচীন নদীর ভালোবাসার নাম আজ ফুটে উঠল নীল আকাশে তারই রঙে।
এক টুকরো পূবালী বাতাস মধু ছড়িয়ে গেল মনআঙিনায় গুচ্ছ শিউলি ফুল ফেলে ।
প্রতীক্ষার দিন শেষ হয়েছিল লিপইয়ারে,
মন যখন চেয়েছিল ওষ্ঠরঞ্জনীতে সাজা তোমাকে,
জাস্ট একটা আলপনা আঁকতে ঠোঁটে ,
নাহ্, পাই নি ।
সমস্যা তোমার ছিল ।
সামনে দাঁড়ালে তোমার নতদৃষ্টি শেখাত নীরব ভালোবাসার শাশ্বত মুদ্রা।
বীজগণিত ভুল, জ্যামিতি ভুল,
জীবনটা পিথাগোরাসের থিওরি মেনে চলে না,
চলে পাটিগণিতের তেল মাখা বাঁশ আর বাঁদরের উপাখ্যানে।
তাই তো ভাবি …..
মনে বারবার ধাক্কা দেয় , সে কি সত্যি আমার হবে ?
হয়ত হ্যাঁ বা হয়ত না ।
প্রবাবেলিটি, ফের অঙ্ক !!
অবশেষে তোমার জন্য পৃথিবী সাজিয়ে দিল –
হাজার প্রতিশ্রুতির নাটক, যা অনন্ত অঙ্কের,
যবনিকা এলো দেহতত্ত্বের বোল তুলে ।
তারপর …. !
একটা মিথ্যে এয়োতির চিহ্ন কি আজও বয়ে যাবে মাঝ দরিয়ায় ?
যখন বার্ন ওয়ার্ড থেকে একবার ফিরে এসেছ,
পরেরবার ………
থাক সে কথা, বরং বলি —
বুকের দরজা আজও খোলা তোমারই জন্য,
” সংযুক্তা ” রাতটা হোক না রঙিন তোমার আগমনে, কোন এক কালারব্লাইন্ডের কাছে ,
যে তোমাকে ডাকত নেফারতিতি বলে ।
ফল্গু ফের দেখা দিক, ভাসাক জনপদ,
সরস্বতী ফের নাব্যতা ফিরে পাক ….
আর তুমিও খুঁজে পাও এক অত্যাচারহীন সমাজ নিজের বুকে ,
আমার ভালোবাসার ছোঁয়ায় বাকি জীবনের জন্য।