১
লম্বা, সর্দি—সমস্তদিক অন্ধকার করে, আজ
বৃষ্টি নামলো—তোমার
দূর সম্পর্কের ভাই, প্রতিদিন, খবর আনে আমার জন্যে
তুমি নাকি সেই কবে পাহাড়ে বেড়াতে বেরিয়েছো, ফেরোনি
এখনও—সুটকেশ ভর্তি ক’রে
তুমি নাকি রাশি রাশি জামা-কাপড় নিয়ে গ্যাছো, বই নিয়ে গ্যাছো
আরও কতো কী নিয়ে গ্যাছো, সবকিছু অবশ্য
এখন মনে পড়ছে না আমার—তোমার ভাই
আমার জানলায় এসে বসে আছে এখন—ওকে আমি
অবনীন্দ্রনাথ পড়তে দিয়েছি—অসময়ে প্রায়ই, হঠাৎ
ঘুমিয়ে পড়ি আজকাল—ও এসে
চটপট আমাকে ডেকে তোলে, বলে : তুমি নাকি একেবারেই
চিঠি লেখো না—আমাকে না জানাও
ওকে জানাও, কবে ফিরছো—
ও বেচারা, আমার চেয়েও কষ্টে আছে—আজকাল
কেবলই মনে হয় এইরকম
২
তোমার হাসি
ভালো লাগে আমার-পথের
মধ্যিখানে দাঁড়িয়ে
তুমি যখন হেসে ওঠো হঠাৎ—পুলিসও
মুখ ফিরিয়ে দেখে নেয় আমাদের
সিগারেট ধরায়
৩
তোমার মাথার ওপর দিয়ে, দ্রুত, উড়ে গ্যালো একটা এরোপ্লেন—
দূরে, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আমি দেখি
কী বিশাল ছায়া পড়লো তোমার শরীরে—আর পাখিরা
এই উনিশশো একাত্তরেও ভয় পেলো খুব—সত্যি
পাখির বিষয়ে আমরা কতো কম জানি—গাছের বিষয়েও
আমরা বিশেষ কিছুই জানি না—এক একটা গাছের সঙ্গে
সারাজীবন থেকে যেতে ইচ্ছে করে—এক হাজার পাখির মধ্যিখানে
বসে থাকতে ইচ্ছে করে দুপুরবেলা—সত্যি
দুপুরবেলা, আরও কতো কী করতে ইচ্ছে করে—হলুদ শাড়ি প’রে
যখন তুমি দাঁড়িয়ে থাকো বারান্দায়