শান্তিলাভ
নুন আনতে পান্তা ফুরোয়।তবুও মদের ঠেকে!কুসুমপুর বস্তির মেয়েরা ভয়ংকর আতঙ্কিত স্বামীদের বর্বর আচরণে।কেউ রিক্সাচালক,কেউ ভেনচালক, কেউ বা কারখানার মুটে।অসম্ভব খাটুনির শেষে ইথানল মিশ্রিত লালজল যেন সমুদ্র-মন্থনে উত্থিত অমৃত। পেটে না পড়লে রাতে নিদ্রাদেবী দেখাই দেন না।
কিন্তু সেবনের পর বাড়ী ফিরে কুকথা আর স্ত্রীদের উপর অকথ্য অত্যাচার যেন রোজনামচা।আবহাওয়া তখন উত্তপ্ত।তবে সুদিন তো একদিন আসতেই পারে।
সুদিনের খোঁজে বস্তি স্ত্রী-মেয়েরা ভালোই জানে, চোলাইয়ের বিক্রেতা কে?ঐ লোকটাই যত নষ্টের মূল।যত অশান্তির ব্যবসাদার।
রাত্রি খান্ খান্ হয় নিত্যদিনের তুলকালামে।কালশিটের দগদগে দাগ শরীরে বয়ে ওদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এবার রুখে দাঁড়ানোর পালা।বটি,ঝাঁটা,লাঠি নিয়ে একদিন ওৎ পাতে মেয়েরা। মরদদের ফেরাতেই হবে।বিক্রেতা কালু যেই না চোলাই আর চাট নিয়ে গুছিয়ে বসেছে সন্ধের মুখে, অমনি হা-রে-রে-রে আক্রমণ।চোলাইয়ের কলসীগুলো ভেঙে, ঠেকের চালাঘর ভেঙে, ওকে মারধোর করে সমবেত মেয়েরা ওকে স্থানছাড়া করে।
ব্যস্, ছটপটে স্বমীরা এখন শান্ত।অমৃতের সন্ধানে মাথাকুটে মরলেও সেটা এখন অলভ্য।শান্তির পারাবারে এখন কুসুমপুর বস্তি।