ক্যাবলাদের বাড়ির পুকুরে কোথায় এক গোপন জায়গায় সেই লাল-নীল মাছটা

পুজোর ছুটির পর যখন স্কুল খুলল, অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখলাম

ও পাড়ার মাঠে ফুটবল খেলে ফিরতে বড্ড সন্ধ্যে হয়ে গেল।

বনের ধারে ছোটোবেলায় পাহাড়ে দেশে থাকতাম। চারদিকে ছিল সরল গাছের

পেনেটিতে পেনেটিতে, একেবারে গঙ্গার ধারে, আমার বড়ো মামা একটা বাড়ি

বহুরূপী ছোটোবেলাকার কত কথাই যে মনে পড়ে, কত কাণ্ডই যে

কী বুদ্ধি জন্তুজানোয়ারদের বিষয়ে কতরকম অদ্ভুত গল্পই যে শোনা যায়

এক বেজায় জ্যাঠা ছেলে ছিল। যতদিন বাবা বেঁচে ছিলেন, ততদিন

প্রথম যখন গণশার সঙ্গে আলাপ হল সে তখন সদ্য সদ্য

পঞ্চমুখী শাঁখ বটুদের দেশের বাড়িতে একটা প্রকাণ্ড পঞ্চমুখী শাঁখ আছে।

ভাই সন্দেশ, অনেক দিন পর তোমায় চিঠি লিখছি। এর মধ্যে

বাঘের চোখ অঙ্কের ক্লাসে আমার বন্ধু গুপির সব অঙ্ক ভুল

নন্দর আজ বেজায় মন খারাপ। সেই সকাল থেকে সব জিনিসকে

সত্যি নয় গল্পটা গুপির কাছে শোনাঃ দলের মধ্যে মেলা লোক

যুগান্তর ব্যাপারটা ঘটেছিল আমাদের হাইয়ারলির ফল বেরুবার ঠিক পরেই। পরীক্ষার

দিনের শেষে লখনউ থেকে ওস্তাদ এসেছে। দাদু আর দিদিমা শ্যামলবাবুদের

আহিরিটোলার বাড়ি আহিরিটোলা কোথায় জান তো? সেখানে গঙ্গার ধারে আমার

আয়না দেখে আঁতকে উঠলুম। এ তো আমার সেই চিরকেলে চেহারা

গুণ করা বুঝলে, আমার মামাবাড়িতে ফাগু বলে একটা চাকর ছিল।

নেই ছেলেটা প্রথম যেদিন মাস্টারমশাইয়ের পিছন পিছন ক্লাসে ঢুকল, গায়ে

অমৃতবাজার পত্রিকার টুকরোটা হাতে নিয়ে বাবার প্রকাণ্ড চটি-জোড়ার আড়ালে দাঁড়িয়ে

যখন সামনের লোকটার লোমওয়ালা ঘেমো ঘাড়টার দিকে আর চেয়ে থাকা

রাত যখন ভোর হয়ে আসে তখন ওই তিন-বাঁকা নিম গাছটায়

সকালে খুব দেরি করে উঠলাম। উঠেই গায়ের চাদরটা এক লাথি

কোন সকালে কলু কদ্দিন দেখেছে রাস্তার মধ্যিখানে লোহার গোল ঢাকনি

ভূতুড়ে গল্প বাড়িটাতে পা দিয়েই আমার মেজো পিসেমশাই টের পেলেন

মেজোমামার প্রতিশোধ আমার মেজোমামাকে নিশ্চয় তোমরা কেউ দেখনি। হাড় জিরজিরে

দুপুর বেলা বাড়িসুদ্ধ সব্বাই ঘুমোচ্ছে। বাবা ঘুমোচ্ছেন, মা ঘুমোচ্ছেন, মেজোমামা