লাশকাটা ঘরের ফিসফিসানি
হিমায়িত ঘরের সাময়িক বাসিন্দা ওরা।
একজন অনগ্রসর শ্রেণির আর অন্যজন উচ্চবিত্ত। ভাগ্যের পরিহাসে দুজনেই একই ঘরের বাসিন্দা।
— বুঝল্যেন বাবু, হামরা হৈল্যম খাট্যে খাওয়া মানুষ। রোদ, জল ঠান্ডা হামদের কাচে হারয়ে যায়। আর ইসব ঠাণ্ডা ঘর কুনো’দিন চোখেই দ্যাখি নাই।আর সহ্য কৈরত্বে লারছি গো বাবু।
— হ্যাঁ রে, কুকুরের পেটে ঘী সহ্য হয়েছে কখনো?
— ঠিকেই বৈল্যেছেন বাবু। ইসব সুড়সুড়ানি ঠান্ডা হাওয়া চলব্যেক লাই গো। এত্তোদিনের জ্বলে পুড়য়ে খেত খামারে কাজ করা শরীল, ইসব সইবে না গো কত্তা।
এমন সময় ঘরের বাইরে কারা যেন বলে উঠলো..
– পাঁচ নম্বর ড্রয়ারের লাশটা বার করে নিয়ে আয়। এখনই হিরু বাগদির ঘরের লোক চলে আসবে। আর শোন, সাত নম্বরের লাশ’টা আরো দিনকতক থাকবে। ওর ছেলে বিদেশ থেকে আসুক, তারপর…
— দেখলেন কত্তা, ভগবান মরা লোকেরও কথা শুনহে।
—যা তো, আমাকে একটু একা থাকতে দে। খালি বকবক করছিস। একদম চুপ।
অকাল শ্রাবণের বজ্রপাতে হিরু ও তার মনিবের অকাল প্রয়াণ হয়েছে গতকাল বিকেলে।