লবঙ্গের গন্ধ আমার অচেনা ছিলো; একদিন অদ্ভুত সুগন্ধ
ঘিরে ফেলে আমাকে ও আমার কুটির। সৌরভে অন্ধ
হয়ে খুঁজি- এ কী? নাসিকায় নয়, গন্ধ পাই সমস্ত শরীরে,
গন্ধ জমতে থাকে মাংস, রক্ত, ওষ্ঠ, সব কিছু ঘিরে;
কেঁপে কেঁপে উঠি। কোন সুদূর, শীত অথবা মরু
অঞ্চল থেকে এসে আঙিনায় জন্মেছে এই লবঙ্গের তরু?
লবঙ্গের গন্ধে ভ’রে যাই ঘাস, চায়ের পেয়ালা, পাখি,
ওষ্ঠে, আলিঙ্গনে, গ্রন্থে, ঘুমে, স্বপ্নে শুধু গন্ধ পেতে থাকি।
পৃথিবীকে লবঙ্গের তরু মনে হয়; ডালপালা, সর্ব অঙ্গ
থেকে ঘ্রাণ ঢোকে, পান ক’রে চলি আমি চুম্বনলবঙ্গ।
কোনো গাছই বাঁচে না, কোনো ফুলই থাকে না চিরদিন,
আমার লবঙ্গতরু ম’রে যায়, আমার কুটির গন্ধহীন
হয়ে ওঠে; সুগন্ধের জন্যে আমি বুক ভ’রে নিই মৃত বায়ু,
মাংসে শুনি হাহাকার- এতো কম লবঙ্গের আয়ু?
গন্ধ যে পাই না, তা নয়; আজো পাই- বুকে অহর্ণিশ,
জমে ভিন্ন গন্ধ, নিশ্বাসে ও রক্তে পাই লবঙ্গের বিষ।