হতে পারি আমি রাক্ষসী—
অশরীরী হায়েনা কিম্বা পিশাচি
রক্তের নেশায় হয়েছি সর্বগ্রাসী,
আমার আত্মায় বাঁধা
শয়তানী বিধাতা
তেপান্তরের অন্ধকারে
আচমকা শোঁ শোঁ শব্দ করে
বাতাসের গা ঘেঁষে
হাসি শয়তানের হাসি।
গোমড়ামুখে টিকটিকিটা—
কাঁপছে কেমন ভীরু চোখে
যেন ভিনদেশী রাজপথের শোকে,
প্যাঁচার গলায় বেসুরো আওয়াজ
অকাল সন্ধ্যায় পড়ছে বাজ।
এলোপাথাড়ি খবরদারি
মন্দ তো নয় বাহাদুরি
আদ্যপ্রান্ত নিঃশব্দে জ্বলুক হৃৎপিন্ডটা।
দুঃস্বপ্নের কালরাত্রি হানাদারি বেশে
দৃপ্ত রক্তাক্ত মায়াবিনী আশ্বাসে
বুভুক্ষ শত বিনাশী আঁচড়ে
একলা আঁধার ঘরে
আমি নিঃশব্দে চুপিসারে
অক্টোপাসের মতো জড়িয়ে অঙ্গে
মিটাই ক্ষুধা-তৃষ্ণা মৃদু শীৎকারে
এক হিংস্র সিম্ফোনিক অট্টহাস্যে।