স্বীকারোক্তি দিনের আলো ফুটল।প্রাসাদতুল্য বাংলোবাড়ির অন্দরমহলের প্রতিটি কামরা বহুমূল্য আসবাব

বৃক্ষকাহিনী গ্রামের নাম পলাশডাঙ্গা।গালভরা নাম হলে হবে কি!সেখানকার মানুষজনের দুর্দশা

আকুতি ঘোষপুকুর লেনের গা ঘেঁষে মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে

নির্যাতন বাপ মা মরা অনাথ একাকিনী সব্জিওয়ালিকে বিয়ে করাটা যে

মন যমুনায় কে গো তুমিনাইতে এলে সাঁঝে?বুকের ভিতর পদ্ম ফুটেকুসুমিত

ঢুঁড়েছি,ভেঙ্গেছি,চুরমার করেছি তোপাথুরিয়া পিপাসা,সাগরের ঢেউএ উত্তাল হিয়ামাথা কুটে খোঁজে কি

হলুদ পরাগ পুলকিত, আজিকরে আঁকিবুকি খেলা,হলুদ ওড়নি দেহমন ছুঁয়েহয় “বৈকালবেলা”.সূর্যমুখীর

পিপাসা আজ জানুবন্দীপিপাসু মনের ক্ষুধা,ছটফটিয়ে হাতড়ে বেড়ায়প্রশ্নফুলের সুধা। পায়েতে বেঁধে

তোমার দুচোখে হেরিয়া আকাশবাদলের ঘনঘটা,বিন্দির মাঝে “ভানু”র উপরেজীবনের স্রোতে ভাঁটা।

জাগিয়ে স্বপন দোর রেখেছি খুলেরাতের পিদিম জ্বেলেঘুম ঘুম চোখ মেলেজানি

কাগজের খেয়া ভাসিয়ে দিলাম জলেসমুদ্দুরে আছড়ে পড়া ঢেউ,নাম না জানা

পড়ল যে বেলা,আমি যে একেলাছড়িয়ে এ কেশরাশি,শুভ্র “বেলি” র সুগন্ধ

মনের কপাট রুদ্ধ আজিপূর্ণিমার আকাশে,চাঁদের আরশি প্রত্যাখ্যাতব্যর্থ সব প্রয়াসে। সরিয়ে

গরজে বরষে,ঝরে বারিধারাআমি আঁখি মেলে থাকি,আশমানী ওই আঁচলটি ভুঁয়েআসে,আমি ছবি

আকাশচুম্বী চূড়ায় আঁকাকোন সে অতল আঁখি,মণির কোঠায় লুকোনো আগুনজ্বলেছে ধিকিধিকি।

রুক্ষ পাথরের গায়ে পরিয়ে দিয়েছিলে জ্যোৎস্নার মখমলি কাপড়শ্মশানঘাটে হঠাৎ শুরু

আকাশ চুমে তোলে হিল্লোলঅক্ষি-হৃদয়ধামে,পিরামিডের শিখর বন্দীঅতলস্পর্শী খামে। ব্যাবিলনের সবুজ স্বর্গেদোদুল্যমান

রক্তবর্ণ নদীতীরে ঘটনায় সান্ধ্য ছায়া,স্নিগ্ধ চাঁদের আলোয় স্নাত মৃত্যুপুরীর কায়া।যত্রতত্র

আজ আমি এক গল্প শোনাই তোমায়,সেই আছে না তিনতলা এক

ভৈরবে আজি ভর করে মেঘেএল কালবৈশাখী,গর্জিয়া ওঠে ঘনঘোর রোষেআমি ঠায়

মায়াফুলের সুবাস ভাসায়জ্যোৎস্না মায়ার নেশা,জীবন হাতের মুঠোয় পুরেজীবন খোঁজে দিশা।

ভীড়ের মাঝে আকাশ কুটিলচোখের জলে শ্যাওলা,যাই গো ধুতে,তল যে না

পুকুরের জল করে টলমলমন করে আনচান,আঁখি দিয়ে শুধু পরশিয়া তোরেশুকায়