রমা গুপ্ত
পরিচিতি
—————————
নাম : রমা গুপ্ত
রমা গুপ্ত-র জন্ম ৫-ই সেপ্টেম্বর বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর। পিতা দুর্গাপুর স্টীল প্ল্যান্টে কর্মরত ছিলেন। মাতা গৃহবধূ।
স্কুল জীবন দুর্গাপুর। বি.এ অনার্স পাস( পলিটিক্যাল সায়েন্স) দুর্গাপুর গভর্নমেন্ট কলেজ। এম.এ বর্ধমান ইউনিভার্সিটি। বি.এড করেন বহরমপুর ইউনিয়ন খ্রীষ্টান ট্রেনিং কলেজ ( UCTC)।
মাতৃভাষা বাংলা।বাংলাতেই পড়াশোনা। বিবাহের পর কোলকাতায় স্থায়ী বসতি। এক পুত্রের জননী। গৃহবধূ এবং গৃহবধূ হওয়ার সুবাদে অবসর পেলেই সাহিত্য চর্চা, কবিতা লেখা, কবিতা পাঠ ইত্যাদি করে থাকেন।
২টি নিজস্ব কবিতার বই ও ৩টি নিজস্ব লেখা ধর্মপুস্তক আছে। এবছর আরও একটি কবিতার বই বের হতে চলেছে। কবিতা,গল্প লেখালেখির পাশাপাশি বিভিন্ন রকম বই পড়তে ভালোবাসেন।
লেখিকার সৃষ্টি
দীপ্ত আলোক রবি || Roma Gupta
পঁচিশে বৈশাখ নভে রবিরনির্মল আলোক ছটা,ভুবন মাঝে রবিঠাকুরেরজন্ম অনুষ্ঠানের ঘটা।
হতাম যদি পাখি || Roma Gupta
হঠাৎ মনে ইচ্ছা জাগেহতাম যদি পাখি,ডানা মেলে যেতাম উড়েতেপান্তরের শাখী।
সয়িষ্ণুতার আধার || Roma Gupta
কটুক্তি করলো কত তোমায় নিয়ে ধরণীতবুও তুমি শান্তি দিলে একটুও
থাকুক শুধুই ভালোবাসা || Roma Gupta
জীব চেতনায় ভরুক আলোপ্রাণে জাগুক নব আশা,সকল কলুষ যাক ঘুচে
মায়ের আক্ষেপ || Roma Gupta
ঝাপসা চোখে থাকি চেয়ে খোকার অপেক্ষায়,মরচে ধরা বৃদ্ধাশ্রমের জানলায় অসহায়।
মত্ত প্রাণ || Roma Gupta
এসেছে ফাগুন এলো বসন্তঘরছাড়া মন বিবাগী যে হায়!স্মৃতির পাল নিমেষ
রয়েছো অনুভবে || Roma Gupta
মাগো তুমি সারাক্ষণইরয়েছো অনুভবে,ভীষণ ভাবে মনে পড়েঅতীত স্মৃতি সবে। কত
জীমূতের নেই দেখা || Roma Gupta
দুর্বিসহ অগ্নিবানে ওষ্ঠাগত প্রাণ,জীবকুলে ত্রাহি রব চায় পরিত্রাণ।জীমূতের নেই দেখা
ঈশ্বরতুল্য বাবা || Roma Gupta
ঈশ্বরতুল্য বাবা ডাক্তার চঞ্চল বেদী নতুন জয়েন করলেন ঘাটশিলা সরকারি
ভোটের বাজার || Roma Gupta
পরিবর্তনের মাঝে দেখিজনজীবনের মহারণ,ভালো থাকার একটু আশায়মানুষ চায় নব জাগরণ।
অরণ্য বাঁচাও || Roma Gupta
প্রকৃতির মাঝ সেই অরণ্যদেখিনা যে আর,সুসজ্জিত বৃক্ষরাজিপল্লবের বাহার। পশুপাখি বাসা
এলো বসন্ত || Roma Gupta
এসেছে ফাগুন এলো বসন্তঘরছাড়া মন বিবাগী যে হায়,স্মৃতির পালকে বিবশ
বিভীষিকা ছায় || Roma Gupta
আকাশ জুড়ে মেঘের ঘনঘটাপৃথ্বী ঢাকে তমসার বেড়াজালে,আসছে বুঝি দুরন্ত কালবৈশাখীবজ্রনাদ
ওষ্ঠাগত প্রাণ || Roma Gupta
প্রখর নিদাঘ জ্বালা গরমে হাঁসফাঁস,ফুটিফাটা মাঠঘাট আগুন বাতাস।অগ্নিবানে জর্জরিত সবে
কলুষ ধারণকারিনী || Roma Gupta
কলুষ ধারণকারিনী শারদীয়া দুর্গোৎসব আসন্ন।নবীন খুড়ো ব্যস্ত প্রতিমা গড়ার কাজে।
বিশ্বজোড়া আসন তোমার || Roma Gupta
বিশ্বজোড়া আসন তোমার তুমি কবিগুরু,জীবনবোধের শিক্ষা মোদের তোমার থেকেই শুরু।তোমার
বৃষ্টি এলে || Roma Gupta
এরপর দিনের শেষে ঠিকআসবে একটা বৃষ্টি,কষ্ণ মেঘ জমবে আকাশেঝরবে বারিধার
রুদ্র বৈশাখ || Roma Gupta
তীব্র দহনে একটু স্বস্তিরবৃষ্টির খোঁজে বঙ্গবাসী,বৈশাখ ধরেছে রুদ্র রূপফুটিফাটা জমি
জীবকুলের জীবনীশক্তি || Roma Gupta
একটি গাছ একটি প্রাণজেনে রাখো সবে,গাছের উপকারিতার কথাবলি শোনো তবে।
ভুল হয়েছিল || Roma Gupta
ভুল তো সেদিন হয়েছিলযেদিন তোমার প্রেমে পড়েতোমায় পাবার জন্য মড়িয়া
জীবন সমুদ্রে || Roma Gupta
জীবন সমুদ্রে কুড়িয়ে ঝিনুকসংসার মাঝে কাটে বেলা,কত ঝঞ্ঝা তুফান সাথেকরি
মন আঙিনায় || Roma Gupta
শেওলা জমা মনটাতে আজএকরাশ বেদনা পাহাড়,পঙ্কিল স্মৃতিগুলো আলগোছে ভাসেপায়না মন
দীনের দৈন্যতা || Roma Gupta
যুগ যুগ ধরে দৃষ্ট সতত বিভেদ পৃথিবী ‘পরে,কেউবা থাকে অট্টালিকাতে
কাগজ নৌকা || Roma Gupta
মুষলধারে বৃষ্টি পড়েউঠোন ভরে জলে,খুকু মণি নৌকা ভাসায়নৌকা দুলে চলে।
প্রাকৃতিক বিপর্যয় || Roma Gupta
প্রকৃতির খেলায় বড্ড অসহায়শুধু চেয়ে থাকা সার,বিধ্বংসী তুফান আসলে হঠাৎতছনছ
জলপরি || Roma Gupta
গভীর বিজন জলের মাঝেখেলছে তিনজন পরি,জলকেলিতে মত্ত তারাঅপূর্ব রূপ ধরি।
বসন্ত রাগ || Roma Gupta
এসেছে বসন্ত দ্বারে রঙের বাহারডালে ডালে ছেয়ে যায় পলাশ শিমুল,রঙে
প্রতি মুহূর্ত দহে || Roma Gupta
শ্মশানের চিতা মতো জ্বলছি নিত্যদিন,পৃথ্বী ‘পরে মহাকালের লীলা অন্তহীন।জীবন পথের
আবির ছোঁয়া ইচ্ছেগুলো || Roma Gupta
বাসন্তিকার আবির ছোঁয়া ইচ্ছেগুলোপলাশ রাগে উড়ছে নভে যেন তুলো,দখিনা বায়
পাড়ার সারমেয় || Roma Gupta
পাড়ার সাতটা সারমেয়আসে আমার ঘরে,নিয়ম করে প্রতিটা দিনডাকবে আবদার করে।