ওগো পরজন্ম, ওগো প্রিয় দিবাস্বপ্ন, পরম মধুর
তুমি সর্বশ্রেষ্ঠ মিথ্যে, তাই তুমি এমন সুন্দর?
উপমাবাহুল্যে তুমি নষ্ট হলে, কবিদেরও করোনি সংযত
ওগো চাঁদ, আজ তুমি এত চেনা, প্রান্তরের একা
পোড়ড়া বাড়িটার মতো!
এর ঈশ্বর মাটি পাথরের পুতুল এবং ওর ঈশ্বর নিরাকার
ক্ষুধা নেই, নেই তৃষ্ণা তবুও কোন্ জিভ দিয়ে
রক্ত চাটছে মানুষের?
গোলাপ, চম্পক, যূথী..মানুষ করেছে কত ফুলের বন্দনা
ফুলেরা জানে না কিছু একতরফা ভালোবাসা তবুও মন্দ না!
জামরুল গাছের নীচে যে দাঁড়িয়ে, বৃষ্টিভেজা ক্ষীণ চাঁদ নাভি
শাড়িতে অজস্র যুই, সে-ই তো রচনা করে কবিতাটি,
আমি কেউ নয়!
ওদের যাদের খিদের অসুখ, ওরা তবুও হাসে এবং গান
গায় হৃষ্টপুষ্ট কুম্ভীরেরা দুপুরবেলা শুধুই কাঁদে, পরের দুঃখে
ভেজায় এত কাগজ!
লুকিয়ে রেখো না কোনো গোপন সিন্দুকে কিংবা লিখো না
দলিলে
না দিলে থাকে না কিছু ভালোবাসা ড়ুবে যায় স্বখাত সলিলে!