আপশোস হীন কোনো মানুষ নেই পৃথিবীতে
আমারও ভীষন আপশোস থেকে গেল জানো?
তুমি আমার কাছে এলে না
তুমি বলতে-” পরীক্ষা দে ভালো করে,পরীক্ষা শেষ হলে তোর কাছে গিয়ে থাকব কদিন। “
কতো অপেক্ষা আজ প্রতিক্ষায় পরিণত
আমি আজও পরীক্ষা দিয়ে যাচ্ছি যাপন যুদ্ধের পরীক্ষা
যেখানে অস্ত্র ধারালো অথচ অদৃশ্য
তোমাকে খুব ছোট্ট থেকেই দেখেছি
ভীষন ব্যাস্ত থাকতে
সংসার ছেলে মেয়ে নানান দায়িত্ব
সামলে নিয়েও তুমি সবসময় হাসি মুখে থাকতে
সেই রাগি মানুষটাকে সমলানো মুখের কথা ছিল না
খুব সহজ ছিলনা তার সব দিক সমান ভাবে লক্ষ্য রাখা
রাত গভীর হলে তোমার চোখেও ঘুম নামতো
তবু
ফ্রিজে মিষ্টি না থাকলে
সেই ডায়াবেটিস রুগীটার জন্য
অনেক রাতেও কাউকে পাঠাতে মিষ্টির দোকানে
সহস্র ইচ্ছাকে মেরে ফেলেও তোমার মুখ যেন পূবাকাশ
ছোটতে ছুটিতে কলকাতা গেলেই তুমি আমাকে মনের মতো করে সাজিয়ে দিতে
শিখিয়ে দিতে দুচারটে ইংরেজি বাক্য বলা
কয়েকটা গানের লাইন
কি ভাবে হাঁটব
কি ভাবে বলব আরো কত কি
বয়সের সাথে সাথে তোমার ডালপালা বাড়ল
ছেলের বউ মেয়েদের জামাই নাতি নাতনিরা তোমাকে ঘিরে
হৈ চৈ -চৈ হৈ করতে থাকে
শারীরিক নানান কষ্ট তোমাকে আঁকড়ে ধরলেও
তুমি এখনো সুন্দরের পূজারী
গান গাও
বই পড়ো
আবৃত্তি করো
ঘর সাজাও
গল্প শোনাও নাতি নাতনিদের
তোমার মনে সূর্য জেগে থাকুক এভাবেই
তোমার দুই হাঁটু অপারেশন হয়েছে
তাই আমার দেহের ঘরে আসতে হবে না তোমায়
মনের ঘরেই এসো
বার বার
বার বার
বার বার
আমার শুকিয়ে যাওয়া হলুদ নীল আকাশি
গোলাপ চারাগুলোয়
তোমার আশীর্বাদ রেখে যেও
তারা যেন পরীক্ষায় পাশ করে
আমার পরীক্ষা আজও শেষ হয়নি
তুমি ভালো থেকো পিসি
অনেক অনেক ভালো থেকো