উত্তাল ছন্নছাড়া এক স্বপ্নের সাতকাহন,
প্রাণহীন শিলার বুকে উদাসী স্বপ্নের তর্পণ,
শরীরী ভাষা নয়, একাকীত্বের আলিঙ্গন।
বিরহী বাঁশুরীর তানে নিঃসঙ্গতার নীরব আলাপন,
স্মৃতির চিতা হতে জেগে উঠে বিহ্বল মনের ভাঙ্গণ।
ক্ষণিকের প্রিয়া বাসর রাতে কৃত্রিম স্বপ্ন সাজায়,
একটি স্বপ্নের মূল্যে প্রিয়হীন প্রিয়া নিষ্প্রাণ প্রদীপ জ্বালায়,
নগ্ন হৃদয়ের ভাস্কর্য ধূসর ভগ্নদ্বারে পথ হারায়,
বেদনার ভস্ম হতে উঠে আর্তরব বহে রক্ত অবিরাম ধারায়।
পলেস্তারা খসা জীবনে হাড় হীম মুখোশটা নিথর, অভ্র কঠিন,
মরুবালার বক্ষ মাঝে ঝঞ্ঝার গর্জন,
হায় কি অসহায়! উন্মত্ত দুরাশার মাঝে খোঁজে প্রাণের স্পন্দন!
উদাসী দামিনীর বিন্দু বিন্দু রক্তে আঁধারের বৃশ্চিক দংশন।
বেখেয়ালী মন সবুজ আঁচলে হৃদয়ের ক্ষত আঁকে,
সানাই গেছে থেমে, লাল–সাদা দুঃখগুলো হৃদয়ে বন্দী থাকে,
হৃদয়ের পোড়ো ভিটে হতে শুকনো অশ্রু খসে পড়ে গোধূলি স্মৃতির বাঁকে।
আত্মার আর্তনাদ জাগে শঙ্খধবল জলবুকে।
কলমের বুকে কয়েক ফোঁটা অশ্রুজল,
প্রশ্ন করে কে তুমি?
আমি যে তোমারই জরাগ্ৰস্ত হৃদয়ের জীবাশ্ম,
জতুগৃহের কলঙ্ক তিলক।
নীল সীমানার ধার ঘেঁষে কালপুরুষ ছুঁয়ে দেখা।
ঝলসানো চাঁদে বিবেকহীন ক্রুর পরিহাসের কালো রেখা।