বেশ্যার রঙচঙে মুখ বলে মনে হয় বাগানের ফষ্টিনষ্টি গোলাপরাশিকে
কাল অবেলায়। যেনো প্রফুল্ল সংসার পেতে আছে রূপজীবিনীরা জীবনের
বিস্তৃত প্রাঙ্গণে, সকলের প্রসারিত বারান্দায়। দোলা দেয় বাহু তুলে
বুক খুলে, কেবল নাচতে থাকে জীবনের চোখের ওপর। জঘন্য অশ্লীল লাগে
অজাচারী সেই দৃশ্য, যেনো প্রকাশ্যে সঙ্গমরত দেশের নন্দিত রানী আর
কুৎসিত রাজারকুমার। ঘৃণায় ফেরাই মুখ লাল রঙ পুষ্পশালা থেকে,
তুলে ধরি এই মুখ অতীন্দ্রিয় আগ্রহে কালজিৎ শিল্পের দিকেই।
এবং একদা বিবমিষা আনে শিল্পকলা, পরাবাস্তব স্বপ্নের
অন্ত্রিতন্ত্রি গলনালি বেয়ে, মহাকাল ভাসিয়ে কেবল জাগে তীব্র
বমনেচ্ছা, হলুদ বমিতে ভাসে কালের কুটিরশিল্প আসবাব
পত্র, সভ্যতার সকল গ্যালারি। ভেজা কাগজের মতোই ফেলনা
হয়ে ওঠে গুহাচিত্র, কালের বাঁশরি, রবীন্দ্রনাথের বর, সেই
ক্ষণে মহাকালের সকল গীতশালে বাজে তীব্র বমনের স্বর;
তখন তোমার দিকে, প্রেম, আমি দুঃখময় মুখ তুলে ধরি।
প্রেম তুমি কৃষিকাজ জানো না বলেই সমগ্র ভূভাগব্যাপী
মাথা তোলে দারুণ ছত্রক, বাড়ে পুলকিত আগাছার ঝাড়,
একটি বিশাল নদী সৌরমরুভূমে নিরর্থক বয়ে আনে
জল, আমি হই আদিকর্মী, দিব্য কৃষকের আদিম লাঙল;
পরম মেধায় আমি সভ্যতার মাঠে মুখ তুলে ধরি।
পুষ্পপ্রেমকৃষিশিল্পমেধা, সভ্যতার সকল প্রদীপ
স্বচ্ছতা হারায় কোনো কোনো ভয়াবহ নিষ্ঠুর সন্ধ্যায়;
প্রদীপআগ্রাসী সেই কালো সাঁঝে আমি এ-জীবনমুখি মুখ
সারাক্ষণ নিদ্রাহীন ধরে রাখি জীবনের দিকে।