ঘুমিয়ে ছিলাম অন্ধকারে সংজ্ঞা বিহীন ভোর,
বন্দী শালার জীবন আমার চোখেও ঘুমের ঘোর।
তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে রাজার কুমার এলে,
সোনার কাঠির পরশ দিয়ে ঘুম ভাঙিয়ে দিলে।
ঝলমলে রোদ চোখ ধাঁধাঁনো আলোর বন্যা বয়,
পেরিয়ে আঁধার অন্ধকারে আর করি না ভয়!
রাক্ষস আর রাখতে পারে খাঁচায় বন্দী করে ?
বুকের ভেতর দিনের আলো ডাক দিয়েছে ওরে!
জলের তলায় সাতমহলা ঘরের ভেতর ঘর,
প্রাণ ভোমরার দখল নিতে তুচ্ছ যে ভয় ডর!
লড়াই করে জয়ের মালা গলায় নিলে পরে,
যাচ্ছি এখন তোমার সাথে পক্ষীরাজে চড়ে।
সাত সমুদ্র তেরো নদীর পারে তোমার ঘর,
আপন করে নিলে আমায় ছিলেম আমি পর।
অন্তরে আজ ডাক দিয়েছে মোহন বাঁশীর সুর,
প্রাণ যে আমার স্বস্তি সুখের উল্লাসে ভরপুর।
দুটি জীবন এক হয়েছে বীণার ঝঙ্কারে,
ভরিয়ে দিলে হৃদয় আমার নীরব অহংকারে।
বুকের ভেতর ভালোবাসার ব্যাঙ্গমা ব্যাঙ্গমী,
দিনরাত্তির সঙ্গী তারা হীরের চেয়ে দামী।