সরল বিশ্বাসে স্থান দিয়েছি যাকে ঘরে,আদরে ,
অনাদরে এতকাল ছিল যে অনাহুত। সহসাই-
গুপ্ত মন্ত্রনার টাইম টেবিলে বসে সে পজিশন চায়
ভালোবাসার মাথা বগলে চেপে লেখে কলঙ্কিত অধ্যায়।
আকস্মিক বিস্ফোরণে দেখি আদর্শ ভেঙে চৌচির
সেই কুঁচি বেলচায় ভরে বেঈমানীর সংমিশ্রনে গড়ছে প্রাসাদ
ভাঙছে শুধুই ভাঙছে আমার দুই চোখের স্বপ্ন –
জীবনের জ্যোৎস্নার গায়ে সমানেই ঢালছে কালো অমাবশ্যা।
গঙ্গার দূষিত জলে নেভে না আগুন, প্রেমগুলো জ্বলছে
রক্তাক্ত অনুরাগের মুখে আর্তনাদ,উচ্ছাসহীন ধ্বনি-
যন্ত্রণা নিয়ে ছুটছে। এখন উজ্জ্বল মধ্যরাত –
প্রথাগত সচেতনতা ভুলে দিকে,দিকে যৌনতার বন্যা বইছে ।
এখন অবিরাম ভোগবাদের বিজ্ঞাপনে বাজার মাত,
সবাই ভাবে সেই মধ্যমণি দেহে,মনে,যোনি ও বুদ্ধিতে।
অর্বাচীনে ঘর ভাঙে, দিবাস্বপ্নের অঢেল সাজানো বিকিকিনি।
পুরাকালের অযোনী সম্ভুত সতী সীতার চিতায় ধারণ।
আর নয়,সহ্যের সীমা লঙ্ঘন,সময় গেল ধৈর্যের স্বরলিপি জুড়ে জুড়ে আশ্রমে,
বিশ্বাসগুলো এখন ধুঁকে, ধুঁকে মরছে, সম্পর্ক পুড়ে হচ্ছে ছাই।
আদর্শলিপির ছেঁড়া পাতাগুলে আবার সাজাই এসো –
দেওয়ালের মিথ্যা প্রতিশ্রুতির পোস্টার ছিঁড়ে ছিঁড়ে পুড়াই।