গোধূলিতে রং ধরায় রক্তিম আকাশ
তারপর গোধূলির মায়াভরা মুগ্ধতা মুছে গিয়ে আকাশের কোল ঘেঁষে জেগে ওঠে সাঁঝের সাজঘর…
একটা সাঁঝের তারা বাতি জ্বালিয়ে খুলে দেয় সাজঘরের দ্বার-
তারপর সবুজ হলুদ লাল কাচের টিপ পরে মায়াবী হাসি হাসে তারারা…
সাজঘরে একের পর এক ফুটে ওঠে মুখাবয়ব…
হৃদয়পুরের তুলসী মঞ্চে আজও প্রদীপ জ্বলে
ভগ্ন সেই দেউলে আজও চলে দেবতার আরাধনা…
পুষ্করিণীর গা ঘেঁষে এখনও দাঁড়িয়ে আছে সেই সুপ্রাচীন বটবৃক্ষ-
পক্ককেশসম তার ঝুরিগুলো আজও আলতো হাতে ছুঁয়ে যায় ব্যথাতুর তৃণ!
চাঁদের প্রতিবিম্বে ভাঙাচোরা কোলাজ আঁকে বাতাসের হিল্লোল…
টুকরো টুকরো ছেঁড়া মেঘের পালক অনুরাগে অভিমানে ঢেকে দেয় কিছু অবয়ব!
একা বট সাক্ষী হয়ে থাকে সেই বিচিত্র দৃশ্যমানতার
তার বুকে জমে একে একে মায়ার ইতিহাস!
সাঁঝের তারা আলো দিয়েছে অনন্তকাল
বটবৃক্ষ অনাদিকাল ধরে আশ্রয় দিয়েছে শতকোটি প্রাণ।
সময় বয়ে যাবে-
গাঢ় আঁধারে সবকিছু চলে যাবে দৃশ্যমানতার বাইরে –
শুধু রয়ে যাবে আকাশ পৃথিবীর এই যুগান্তের টান।