মাতাল হয়ে আছি করছি শুধু পান
সুদূরে নিকটে যা-কিছু চলছে, জ্বলছে :
স্তব্ধ বাড়িঘর, নদীতে নীল শব,
হংসসারিকা, এবং ভেতর টলছে;
চোলাই করি চোখে গোপন ঘরে বসে
দৃশ্যসুরের মজ্জার থেকে মদ্য,
পুলিশ থেকে দূরে গাছের অতি কাছে
যেনো ধরণীতে কখনো ছিলোনা গদ্য।
ঝরছে নীল মদ, ঝরছে রাজপথে
মাতাল মত্ত হাজার আঁখির মধ্যে,
গলছে গাড়িঘোড়া, শ্লোগান গলে যায়,
অন্য পোশাকে পরিচিতি দেয় ছদ্মে।
সুপার মার্কেটে দুধেল তরুণীরা।
করে বিকিরণ কামের তীব্র রশ্মি,
বক্ষে ধূলো ওড়ে যেনো-বা মরুভূমে
তেলচকচকে খরমসৃণ অশ্বী।
কেবল মদ ঝরে, মেদিনী মদময়
জাহাজের বাঁশি, দুর্ঘটনার শব্দ,
বাহুর তলে লোম আর্ল ভিজে রস
মদ্যমাতাল সবগুলো বঙ্গাব্দ।
তোমার চোখে মদ ঝরছে অবিরাম
বাহু ও বিছানা, মৈথুনহীন নিঃস্বার
স্বপ্নে দেখা ছবি, বাল্যে পড়া পাঠ,
অস্থিমাংস-ফেটে-পড়া দ্রাক্ষার
ঝরায় গাঢ় মদ, গভীর নীল মদ,
যেনোবা উর্বশী ভেঙেছে মদের পাত্রি,
এসেছে টেলিফোন আমাকে যেতে হবে
ডেকেছে নিশীথ,–স্বপ্নমাতাল রাত্রি,
সবাই বসে আছে, অধীর বসে আছে
নিহত কবিদের নবমেঘনীল বৃত্ত,
কে তুমি ডেকে যাও, গোপন টেলিফোনে
তুমি কি প্রিয়তম মৃত্যু না লাল নৃত্য?