ভালোবাসার অমোঘ টানে বারবার ছুটে গেছি তোমার কাছে।
তুমি নির্বিকার চাহনি মেলে সরে গেছো দূরে,
অথচ, তোমার চোখে আমি মুগ্ধতার ছায়া ঝলকে উঠতে দেখেছি,তবুও কেন নিজেকে হঠাৎ আড়াল করে নিলে উপেক্ষা ভরে!
যেন,রক্তকরবীর রাজা সেই রঞ্জনের মত তুমিও পাষাণ কারার আড়ালে কঠিন বর্মে আবৃত করে নিলে নিজেকে।
কিন্তু ,আমি যে তোমার ওই অতল রহস্যে হারাতে চাই,কেন মিছে ছল করছো বলোতো?
কখনো , একচিলতে বিদ্যুতের মত হঠাৎ করে তোমার ছায়া দেখি,আবার পলকে উধাও!
তোমার অতলে আমি যতবার খুঁজি তল, নিমেষে হারাই সেথা, এ কেমন ছল!
এ কেমন লুকোচুরি খেলা!
রঞ্জনের মত আচমকাই তোমার অস্তিত্ব আমার অনুভবে টের পাই,
পুলকের শিহরণে আমার দেহলতা বিবশ অনাস্বাদিত রোমাঞ্চে,
ব্যাকুল আগ্রহে আলিঙ্গনে জড়াতে চাই বাহুপাশে নিবিড় প্রণয়ে, কিন্তু হায়, কোথা তুমি!
হৃদয়ের গভীরে আমার মনের আয়নায় শুধু তোমাকেই তো দেখতে পাই —
ঘুম ঘোরে স্বপ্নে তুমি চুপিসারে এসে অপলকে আমাকেই দেখো প্রেমের অঞ্জনমাখা চোখে গভীর ভালোবাসা মেখে।
তবে কেন এ ছলনার জালসাজ! কেন এমন করে খেলছো নিঠুর দরদী প্রেমিক!
তবেকি সবটাই আমার ভ্রম!
ওইযে,ঘুমের মাঝে তোমার নিবিড় উষ্ণ স্পর্শ আমার ঠোঁটে!
কপোলের চূর্ণকুন্তল আলগোছে সরিয়ে একটু মৃদু পরশ!
না,না,এ কিছুতেই ভ্রম হতে পারে না।
তোমার ওই স্পর্শ আমাকে যেন যুগাতীতের পথে নিয়ে যায়,
সেখানেও তুমি আর আমি ছিলাম প্রেম পূজারী,
ভালোবাসার যমুনাতে কত না জলকেলি রঙ্গরসে,
আচ্ছা,কোন ভুলের শাস্তি দিচ্ছো বলো?
আমার মনের ভেতর মনটা হা-পিত্যেশে হাহাকার করে গো।
তুমিই আমার জীবনের সব,
যৌবনের কুঁড়ি ফোটার ক্ষণে যেদিন তোমার সাথে মুখোমুখি, সেদিন বুঝেছিলাম তুমিই আমার ইহকাল, পরকাল, আমার সুখের ঠিকানা।
যখনি জোছনা রাতে মুগ্ধ হয়ে চাঁদকে দেখি,
অনুভবে টের পাই তুমি চুপিচুপি এসে দুচোখ টিপে ধরলে,
আবেশে চোখ বন্ধ করে ফেলি, আবার চমকিত বিস্ময়ে চেয়ে দেখি, নাহ্ নেই, তুমি কোথাও নেই,
কিন্তু আমার যে তোমাকেই চাই– চাইইই–
কিছুতেই হার মানতে চাইনে,
হার মানা হার পরাবো তোমার গলে,এসো হে প্রিয়,মোর হৃদ মাঝারে এসো—
আমার প্রেম পাগল মনটা আকুল হয়ে মগ্ন অনুভবে তোমার মনের তল পেতে আবারো ডুবুরী হয়, গহন অতলে খুঁজে বেড়াই – খুঁজতেই থাকি সময়ের স্রোতে ভেসে ভেসে–