কখনো বাসি নি ভালো; বাসলে তো সারাক্ষণ কুয়াশায় ঘোরে
থাকতাম পাখিদের মনে হতো লাল নীল সুর, খুব ভোরে
উঠে সূর্যে দেখতাম লাল রক্তজবা, ঘাসের সবুজে
আপাদমস্তক নগ্ন প’ড়ে থাকতাম দুই চোখ বুজে
তাকে খুঁজে খুঁজে হাঁটতাম পথে পথে কেঁপে কেঁপে
নাম জ’পে জ’পে, কখনোও মেপে মেপে,
সাবধানে, পা ফেলতাম না রাস্তায়; দুর্ঘটনারত ট্রাক দেখে
মালা ভেবে বুকের ওপরে তাকে আনতাম ডেকে।
যদি ভালোবাসতাম, তাহলে কি দাড়ি কামাতাম? জুতো পায়ে
বেরোতাম পথে? চুল আঁচড়াতাম? পরতাম গায়ে
শীত গ্রীষ্মের শার্ট প্যান্ট জামা? তাহলে কি পাগল যুবক
লিখতাম শুদ্ধ গদ্য? পাদটীকাসহ সন্দর্ভপুস্তক?
ভালোবাসলে কী ক’রে একটানা ঘুমোলাম এতোগুলো রাত,
যখন থাকার কথা জেগে, হৃৎপিণ্ডে হঠাৎ
কারো মুখ দেখে যখন কাঁপার কথা ভূমিকম্পে, তখন কী ক’রে
ঘুমোলাম মধ্যরাতে, একটায়, দুটোয়, প্রহরে প্রহরে?
পাগল হই নি কখনো, কোনোদিন ভালোবাসি নাই,
আজ মনে হয় একটু পাগল হই, রাস্তায় জড়িয়ে ধ’রে চুমো খেয়ে
বলি, ‘আমি ভালোবাসি, তোমাকেই চাই।’