লিখে যাব কবিতা
তাতে বাধা আসুক যত যা;
এখনো তো জীবন উদাস পাহাড়ের মত সন্ন্যাস নিতে চায়নি,
জীবন প্রতীক্ষার প্রান্তে ঘাট তটে দাঁড়িয়ে
মন মরা ভাবনার ভাবনাগুলো জেগে ওঠে নিজেরই অজান্তে।
অটল পাথরের গায়ে স্থির সাধনার বৃথা কল্পনা
গ্রহের মালা গাঁথার নৈশপ্রহরের সেই সুপ্ত যাতনার প্রতিক্ষণ,
এহেন মরীচিকার আর্তনাদ শুনিবে না কেউ
অহেতুক তবু মূল্যায়নের লক্ষ্যে ছুটে চলা নিরবধি
যাতনারা ভাবিয়েছিল কবে কোন কাল হতে
আমি সবার অলক্ষ্যে প্রদীপ প্রজ্বলনের সূচনায় মগ্ন।
মনের মাঝে ভীষণ জেদ
সময়ের গণ্ডি টপকে একদিন এই সময়কে করবো ভেদ
আমার মতো কোন কবি করবে রচনা কালজয়ী অনুচ্ছেদ,
বিলম্বিত আড়ম্বর দিগন্ত ছুঁতে চায়
তবু অহর্নিশি কিছু গণদেবতার চেতনা–
প্রকাশ্যে আগন্তুক ঝলমলে দিশার সন্ধান দেয়।