(আমি) কোথায় গেলো বৈশাখ তোর রুদ্র ভয়াল রূপ?
ঝড় বৃষ্টি রেখে এসে তুই কেনো নিশ্চুপ?
রোদের তাপে সবুজ পাতা শুকায় গাছে গাছে,
শীতল হাওয়া মুখ লুকিয়ে গেলো যে কার কাছে?
এই গরমে শরীর জ্বলে প্রাণ বাঁচানো দায়,
বৃষ্টি নিয়ে কালবোশেখী আয়’রে ছুটে আয়।
বারিধারা ‘য় বন বনানী সিক্ত করে দিয়ে,
গুমোট গরম উধাও করে শান্তি দে ফিরিয়ে।
নইলে বাপু নতুন এলে করবো’না বরন,
আয় বোশেখী সঙ্গে নিয়ে অঝোর বরষন।
(বৈশাখ-) ওগো মানুষ সব বুঝে ও তোমরা করো ভান
উষ্ণ ‘তাতে বিশ্ব পুড়ে কেমন পেরেশান!
পাহাড় নদী বন বনানী সব করেছো সাফ,
গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত, সেই তো অভিশাপ!
পাহাড় গুলো মাটি কেটে করছো সমতল,
জলাধারের মরণে হয় উষ্ণ যে ভূতল।
নিজের পায়ে কুড়াল মেরে আমার ঘাড়ে দোষ,
তপ্ত খরায় জ্বালা পোড়া আহারে আপসোস!
এবার তবে শপথ করো শান্তি যদি চাও,
প্রকৃতি ‘কে রক্ষা করে বিশ্ব কে বাঁচাও!