শ্রীচরনেষু বাবা,
শরতের নীল আকাশ, শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ, আষাঢ়েের মেঘলা দিনের আকাশ, শ্রাবনের বৃষ্টি ভেজা আকাশ, কোন আকাশে আছো তুমি! আমি যে তোমায় হন্যে হয়ে খুঁজি!
সেদিনও ছিল বৃষ্টি ভেজা গুরুগম্ভীর শ্রাবণ মেঘের ঘনঘটা। চারিদিক শূন্য করে তুমি চলে গেলে কিছু না বলেই! ভিজে বাতাসে খবর শোনা মাত্র আমি অনুভুতিশূন্য, দিশেহারা হলাম!
জানি, সময়ের ডাক এলে চলে যেতে হয় বন্ধনের সুতো ছিঁড়ে জীবনের ওপারে অন্য কোথাও। এ ডাক এমনই ডাক যে কেউ তা উপেক্ষা করতে পারে না!
তাই আজও রাত গভীর হলে ঝিকিমিকি তারার পানে চেয়ে থাকি, সবচেয়ে কাছের তারাটা উজ্জ্বল হয়ে হাসছে আমার পানে চেয়ে,সেটাই বুঝি তুমি!
আমার তখন সেই তারার পানে চেয়ে তোমাকে ভাবতে ইচ্ছা করে। বলতে ইচ্ছে করে জানো বাবা, অবাল্য একাকিত্বের যে ভয় পেতাম, সেই আমি আজ একা ভালো থাকতে শিখে গেছি। বছর ঘুরে যায়,শুধু না বলা কথা গুলো রয়ে যায়। আকাশে পথে ভেসে আসে নৈঃশব্দের বাণী, মনেতে যার বাস, তাকে কি মনে করতে হয় কখনো! তাই বৃষ্টি ভেজা চিঠি পাঠিয়ে দিলাম তোমার কাছে বাতাসের ঠিকানায় মেঘমল্লার দেশে সবচেয়ে উজ্জ্বল তারাটির কাছে।
জানি, এই চিঠি পাওয়া মাত্র তুমি পড়ে খুব হাসছো, আর বলছো, ওরে তুই যে আমার পাগলি মেয়ে!
ইতি
তোমার জয়া