বিশ্বজিত নাগ
লেখক পরিচিতি
—————————
নাম : বিশ্বজিত নাগ
মেঘের আলয় মেঘালয়ের পশ্চিম গারো পাহাড় জেলার তুরা শহরে বিশ্বজিত নাগের জন্ম ১৯৬৫ সালে। বাবা নগেন্দ্র কুমার নাগ এবং গৃহবধূ মা ঊষা রানী নাগ বরাবরই ছিলেন সংস্কৃতিমনা। সাংস্কৃতিক পরিবেশেই শৈশব থেকে পথ চলা শুরু। গারো পাহাড়ের বিভিন্ন জনজাতির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং বাঙালির আধিক্য বাংলা ভাষায় চর্চার পথ সুগম করে এবং তুরা শহরে সাহিত্যের জোয়ার আসে। সেই জোয়ারে ভেসেই সাহিত্যে আত্মপ্রকাশ। শুরুতে প্রবন্ধ ও ছোটগল্প লিখলেও পরবর্তীতে শুধুই মনের তাগিদে কবিতার অক্ষররেখায় চলাচল। বানিজ্য এবং আইনের স্নাতক বর্তমানে স্টেট ব্যাংকের অধিকারিক। বর্তমানে কবিতাই শুধু ধ্যানজ্ঞান।
লেখকের সৃষ্টি
সমবিন্দু || Biswajit Nag
সীমিত আলোয় লুকিয়ে রাখি বেদনার রেশ,সন্তর্পণে নির্বাক ছায়াতলে লিখে রাখে
নোঙর || Biswajit Nag
অলীক স্বপ্নের বাতিঘরের আলো জ্বলে অবিরাম,প্রত্যাশার পারদ চুঁইয়ে ছোটে টগবগে
হৃদয়ের টান || Biswajit Nag
ধরে রাখি মেঠোপথের অন্তঃস্থ আহ্বান,দুরন্ত শৈশব কাছেপিঠেই ঘুরঘুর করে,চেনা বাতাসের
পিছুটান || Biswajit Nag
আঁকড়ে ধরে রাখে নাছোড়বান্দা পিছুটান, ক্ষণিকের মোহ অতিথির আপ্যায়নে সদা
অনিশ্চিত যাত্রা || Biswajit Nag
আজও বয়ে বেড়াই পুরনো আবেগের যন্ত্রণা,রোজ ডানা ঝাপটে চলি রোজনামচার
বেলাশেষে || Biswajit Nag
অবশিষ্ট বেলায় চেয়ে থাকি উন্মুখ আলোয়,এখনও অনেকটা পথ বাকি-এক মনোরম
জলরেখা || Biswajit Nag
চিবুকে জমিয়ে রেখেছ একমুঠো বসন্ত,একাকী অধর দিনের তন্ময় আলোয় স্নিগ্ধ,পদ্মপাতার
পাঠ || Biswajit Nag
সৃষ্টির যন্ত্রণা পাঠ শেষ হলে প্রতীক্ষায় থেকো,লাঙলের ঝকঝকে ফলায় উদ্ভাসিত
ভাঙন || Biswajit Nag
আড়মোড়া ভাঙছে নোনা জল,তীব্র শব্দক্ষেপে আছড়ে পড়ে বেহিসেবী নিরুদ্দেশে,যে বাঁকে
অপেক্ষার চৌকাঠ || Biswajit Nag
ঝড়ের পূর্বাভাস জেনেও এগিয়েছি ভ্রুক্ষেপহীন,সতর্কবার্তা জারি করেছিল তোমার দুটি চোখ,প্রবল
কড়িখেলা || Biswajit Nag
ভারে নুয়ে পড়ে সময়ের চৌকস জলছাপ,আলোচিত আয়ূরেখা ছুঁয়ে বেঁচে থাকা
ভালো মন্দ || Biswajit Nag
কিছু রাগ অনুরাগ নরম মখমলে মোড়া,কিছু রাগ বিরাগ ধূম্র ধোঁয়াশায়
ভাবনার পালক || Biswajit Nag
ভাবনা গুলো উঁকি মারে চিলেকোঠা পেরিয়ে,অভিমানের মেঘ সুখের বদলে চেয়েছে
পূণ্যশ্লোক || Biswajit Nag
বিবেকের কাছে জমা রেখেছি দায়বদ্ধতা,আবেগের মেকি কান্না তীব্র জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত,প্রকৃতির
মিলনমেলা || Biswajit Nag
নীল আকাশের বিশাল সামিয়ানায় হাজার রঙের মেলা,আনন্দে লুটোপুটি অগুন্তি সব
স্বস্তি || Biswajit Nag
মাঝে মধ্যে ভাঙচুরের নেশায় মেতে থাকি-প্রবল জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত বৈদিক জোছনার
ভবঘুরে মন || Biswajit Nag
ভবঘুরে ইচ্ছেগুলো আঁচড় কাটে খেয়ালের বশে,একসমুদ্র উদাস বাউল মেঠো পথে
আলোর বিন্দু || Biswajit Nag
আলো খুঁজে চলে প্রহর নিষ্প্রভ বারান্দায়,রাত জেগে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়ায় জোনাকি
অনন্ত বন্ধন || Biswajit Nag
বেছে নিয়েছি ম্রিয়মান নিভু আঁচের আবছা পথ,বিজ্ঞাপনের ভীড়ে হাজার আলোর
অনুরাগ || Biswajit Nag
আয়ত চোখের গভীরে নিরুদ্দেশ সন্তরণ,হাতে হাত রেখে চলে উষ্ণতার বোঝাপড়া,অনুভবের
লুকোচুরির খেলা || Biswajit Nag
মেঘের চোখে কান্নার অন্তর্লীন সাগর,দিগ্বিদিক মুষলধারায় দীর্ঘশ্বাস ঝরে,মন ভীড় করে
জীবনমুখী || Biswajit Nag
অনুভূতির মৃত কোষে ছড়িয়ে দিই কোলাহল,অন্ধকার কোনে মমতা সাজিয়ে রাখে
অচেনা অতিথি || Biswajit Nag
আবহমান শোকে মুহ্যমান থাকাটাই দস্তুর,মনখারাপের প্রহর সাদা কাপড় ধূপের ধোঁয়া,প্রাসঙ্গিক
দিনলিপি || Biswajit Nag
রাতের দরবারে জীবনকে হাজিরা দিতে হয় রোজ,মন বাঁধা থাকে গার্হস্থ্য
সম্পর্কের ভিত || Biswajit Nag
অবয়বে বড়ই অগোছালো গার্হস্থ্য জীবনরেখা,অসম্পূর্ণ রাতের ছায়া লেপ্টে থাকে জড়তায়,প্রত্যুষ
আত্মজ || Biswajit Nag
পূবের আকাশ ছড়িয়ে আলো আনন্দিত খোলা জানালা,কান্না দিয়ে বাস্তবের মাটিতে
পশলা || Biswajit Nag
অস্থিরতার দু এক পশলা বড্ড ভাবুক,সীমারেখা পেরিয়ে খোঁজে বাঁচার রসদ,বৃত্ত
অজুহাত || Biswajit Nag
অজুহাত শব্দবন্ধে আর কতদিন আটকে রাখা,খামখেয়ালীপনা বিস্তর ধূসর ধূলিঝড় অজান্তেই
প্রস্থান || Biswajit Nag
বুকের মধ্যে গুছিয়ে রাখি নির্বাক ব্রতকথা,রঙিন দেয়ালে ঝালর দোল খায়
জলজ অনুভুতি || Biswajit Nag
সন্তর্পনে নেমে আসে বুনো রোদ্দুর,ঠাট বাট মেজাজে জ্বালাময়ী স্ফুলিঙ্গ,আগুন পেঁচিয়ে
দমকা হাওয়া || Biswajit Nag
দমকা হাওয়ায় উড়ছে অসন্তোষের ধূলিকণা,সত্যের মুখে জড়িয়ে আছে সাদা নির্বাক
ভাগশেষ || Biswajit Nag
রোজই পূর্ণ হয় প্রাপ্তির ভাঁড়ার,উপচে পড়ে কখনও-অপাঙক্তেয় অনভিপ্রেত দুর্বিষহ কিছু
পরিক্রমা || Biswajit Nag
পরিযায়ী বৃষ্টিতে ভিজে আনমনা রোদ্দুর,অভিমানী রিমঝিমে বুকে জমিয়ে রাখে নিঃসঙ্গ
ছন্দপতন || Biswajit Nag
আয়নাটা ভেঙেই গেল অবশেষে,ঝুরঝুর করে ক্ষমতা ছড়িয়ে পড়েছে চতুর্দিকে,অজস্র মুখ