একজন অসাবধানী নারী হঠাৎ আমার দৃষ্টিকে চোর করে দেয়
সে ঘুরছে আর টুকটাক করে ভাঙছে এক-আধটা নিয়ম
শাড়ির আঁচলে উড়িয়ে দিচ্ছে কত না নিষেধ
হাসি কুলকুচি করছে আর ঝরে পড়ছে শাস্ত্র-টাস্ত্র
বারান্দা থেকে অতখানি মুখ ঝুঁকিয়ে কী দেখছে সে
ওখানে দেখার তো কিছু নেই
তার ঠিক মাথার ওপরে একটা তেল মাখানো চাঁদ
আর মালগাড়ির মতন লম্বা একটা রাত
কখনো সে ভাস্কর্যের নারী, কখনো নদী
আমার চোখের পলক ফেলতে ভয় করে
যদি সে হারিয়ে যায়
হারিয়ে যেও না, ভাঙো ভাঙো, আরও অনেক
ধূসরতা ভেঙে দাও
বারান্দার থেকে অতখানি ঝুঁকে কী দেখছ
ওখানে তো কেউ নেই।
তুমি বুঝি শূন্যতাও দেখতে পাও!