রেখাতে রেখাতে মিলে সাজে বর্ণের কোষ,
কবিমন অনুপম শব্দ গড়ে পায় সন্তোষ।
রসের লাবনী চুয়ে সুমধুর কথামালা সাজে,
বোধের পরশে বর্ণের অবয়ব রেখাদের ভাঁজে।
বীণাপানির বীনার তারে কাব্যরসের মধুর ধারা,
বর্ণেরা সব কথা হয়ে আপনভাবে আত্মহারা।
ব্যক্ত করে আপনারে প্রাণের কথা উজার করে,
হীরে-মানিক বর্ণ সবে নেয় কুড়িয়ে অনুভবী অন্তরে।
বর্ণ তো নয় শুধুই বর্ণ ,যেন অতুলনীয় মহার্ঘ্য স্বর্ণ,
সৃজণ গুনে সালঙ্কারা, রূপের দ্যুতিতে পরিপূর্ণ।
আপনভাবে কাব্য লিখে বীণাপাণির খাসতালুকে,
বর্ণে বর্ণে শব্দ গড়ে, আঁধার কাটে তমসা্লোকে।
বর্ণে বর্ণে সাজিয়ে বাসর ঋদ্ধমন জমায় আসর,
শব্দের পরতে পরতে বর্ণকোষই কাটে আঁচড়।