বদলেয়ার, আধুনিক কবিতার পিতা, উপাসক ছিলেন এক রূপসীর,
যাঁর রূপে দীপ্ত হতো রূপবতী প্যারিসের রাত। সেই দয়াবতী
দয়া করতেন সকলকেই তাঁর উজ্জ্বল সালঁতে ভিড়
জমতো কবি, দার্শনিক, শিল্পী, নানা প্রতিভার। সম্পদেও অতি
ঋদ্ধ ছিলেন রূপসী, হৃদয়েও, ছিলেন শিল্পিত, এবং উদার।
তাঁর সালঁতে সন্ধ্যায় পানপাত্র হাতে অনুপ্রাণিত হয়েছে অনেকে, যা এখন
মহৎ শিল্পকলা ব’লে গণ্য। ফ্রান্সের ভবিষ্যৎ মহাকবি বদলেয়ার
তখন যুবক, ক্লেদজ পুষ্পের স্তবে মগ্ন; বেশ্যালয়ে গিয়ে যখন তখন
খুঁজতেন নতুন কবিতা, সঙ্গে দেহ ভ’রে আনতেন সিফিলিস,
গনোরিয়া, ধ্বজভঙ্গতা; রূপসীর সালয়ঁ, সন্ধ্যায়, গিয়ে তাঁর রূপে
পুড়ে লেখেন একগুচ্ছ প্রেমের কবিতা;- প্রেম আর বিষ
ভরা উজ্জ্বল কবিতা প্রজ্জ্বলিত করে রূপসীকে। প্রতিভার স্তূপে
পরিপূর্ণ তাঁর সান্ধ্য সালঁয় তিনি দেখতে পান ফ্রান্সের ভাবীমহাকবি।
রূপসীর বুক কেঁপে ওঠে কবিতায়, তাঁর মাংসে জাগে প্রেম, স্নেহ,
বুঝতে পারেন তাঁর সোনালি দেহের রূপে মুগ্ধ ফ্রান্সের রবি
তাঁকে চান, সম্ভোগ করতে চান প্যারিসের তিলোত্তমা অপ্সরীর দেহ।
একরাতে রূপবতী বদলেয়ারকে নিজের কক্ষে নিয়ে ধীরেধীরে
নগ্ন হন; দেখা দেয় দুটি চন্দ্ৰস্তন, অগ্নিউরু, নাভি, জংঘা করেন চুম্বন;
বদলেয়ার ভয় পান পরম সৌন্দর্য দেখে, তাঁর উপদংশগ্রস্ত শরীরে
নামে জরা, নপুসংকতা, রূপসীর বাহুমুক্ত হয়ে করেন পলায়ন।
আমিও কেঁপেছি তোমার রূপে, ওষ্ঠে চেয়েছি স্তন; সারারাত সঙ্গম
চেয়েছি; একদিন আমাকে তুমি দান করলে অনিন্দ্য শরীর,
নপুসংক নই, গনোরিয়া, উপদংশ নেই, তবু আমি ওই অসহ্য পরম
সৌন্দর্য দেখে ভয়ে হয়ে উঠলাম একমাত্র ক্লীব পৃথিবীর।