সতেরই মার্চ উনিশশো বিশে
নতুন সূর্য বুঝি উঠলো হেসে,
বঙ্গ আকাশে সবুজবাতি
প্রাচীন হতে জলিছে দিবানিশি।
শেখ মুজিবর ছিলে তুমি
হয়েছো কখনো শেখ সাহেব,
বাংলার বন্ধু হতে দেখেছি তোমায়
বঙ্গবন্ধু রূপে নক্ষত্র তাঁরায়
রয়েছো আজও চির বহমান,
সেইতো আমার শেখ মুজিবর রহমান।
নির্জনে তাই নির্জনতার ব্যক্ততা,
আকাশ , পাহাড় , সাগর , সিন্ধু
কোথায় আমার বঙ্গবন্ধু ,
হাসছে তোমার অরণ্যের
বনলতার সবুজপাতা
ওখানেই তোমার আত্মত্যাগের স্বার্থকতা।
অনন্ত উদার তোমার অশেষ দৃশ্য
শৈশব হতে কৈশর,কৈশর হতে ছাত্র,
ছাত্র হতে যুবনেতা। আপোষহীন হুংকার
আর অথই হৃদয়ের উদারতার ভালোবাসা।
দেশদরদী অশেষ বিবেক
করনি তাহার কার্পণ্য এক বিন্দু,
প্রেমাদরের শুদ্ধ চাদরে হলে বঙ্গবন্ধু।
বঙ্গদেশের বৃহৎ আশা
ছিনায়ে আনিলে তাঁহাদের বাংলা ভাষা,
দুর্গ বানায়ে ঘরে ঘরে
দিলে স্বধীনতা উপহার
সাড়ে সাতকোটি বাঙালির তরে।
বাংলায় তুমি কয়েছ কথা
সয়েছ যত বাংলার ব্যাথা,
বীর বাঙালীরে অশ্র ধরায়ে
দিলে তাঁহাদের পরিত্রাণ
অবশেষে নেমোকহারাম সেই-
বাংঙালীই কেড়ে নিল তোমার প্রাণ।
অপরাহ্নের শেষদিকে সাহিত্যের দাবি থাকে
অন্তত ক্ষণিকের তরে স্বরণ করিও তাঁকে।