প্রেমকথা
অর্কপ্রিয়া ঘোড়ার পিঠে চেপে বসেই ফিক্ করে হাসে–এ্যাই রাজা,তোর কিছু মনে পড়ছে কি?
রাজা প্রিয়ার পেছনে বসে ওকে ধরে রাখতে রাখতেই বলে– কি মনে পড়ার কথা বলছিস ?
অর্কপ্রিয়া –সত্যি কিচ্ছুটি মনে পড়ছেনা?
রাজা চটে–ধেত্তেরী, হেঁয়ালি করছিস কেন? কিইবা মনে পড়বে শুনি?
অর্কপ্রিয়া টের পায় ,রাজার মেজাজ চড়েছে ,একেবারেই ঘেচু,মাথায় গোবর,হি–হি–,চটছিস কেনরে ? তোর – আমার বাবারা বন্ধু , আমাদের মায়েরাও বাল্যবন্ধু , বাড়িও পাশাপাশি ,ঠিকতো?
রাজা বিস্মিত–লে হালুয়া ,বলতে যাচ্ছিলি যেকথা সেটাই বল্
অর্কপ্রিয়ার মুখভার-এখনো মনে পড়েনি তো গোমড়ামুখো? সেই যে ছোটবেলাতে– আমাদের দু’ পরিবার মিলে এখানেইতো বেড়াতে এলাম, আমরা দুজনেই ছোট ,ঘোড়া থেকে পড়ে গেলুম আর সেকি কান্না ! তখন তুই বলেছিলি —
রাজার এবারে মনে পড়তেই চোখেমুখে খুশির আলো হ্যাঁরে, বলেছিলাম,বড়ো হয়ে আমরা যখন ঘোড়া চড়বোখন তোকে জাপ্টে ধরে থাকবো,আর কাঁদিসনে, চকোলেট খা্—
অর্কপ্রিয়া হাসে–আজ সত্যি তুই আমাকে জড়িয়ে ধরে আছিস রাজা,তোর কথা মিলে গেছে।
রাজা ভ্রু কুচকোয়–আমি কি কখনো অমিল কথা কিছু বলেছি?
অর্কপ্রিয়া মিষ্টি হেসে রাজার হাতটা নিয়ে অনুরাগে গালে ছোঁয়ায়–
,সারাজীবন তুই এমনি করে ভালবাসবি তো?
রাজা মৃদু হেসে অর্কপ্রিয়ার আরো ঘনিষ্ঠ হতেই রাজার উষ্ণ নিঃশ্বাসের আঁচ অর্কপ্রিয়ার গালে লাগতেই শিহরণ খেলে যায় সর্বাঙ্গে–
অর্কপ্রিয়া চোখে ভ্রুকুটি আঁকে–এ্যাই ,ভালো হবেনা,ছাড়,এতো জোরে ধরেছিস কেন?পাক্কা বদমাশ!
রাজা চোখ নাচায়-,কান পেতে শোন্ বসন্ত এসে গেছে,কুহুতান শুনতে পাচ্ছিস ?
অর্কপ্রিয়া কান পেতে শুনেই উচ্ছসিত –আহা!কি মিষ্টি লাগছে -শুনতে-
রাজা বলে ওঠে–জানিস,কাল মেসো আমার মা,বাবাকে বলছিলো,এই ফাগুনেই চারহাত এককরে দেওয়ার কথা–
অর্কপ্রিয়া অবাক—সত্যি! ঢপ্ দিচ্ছিস নাতো?
রাজা গম্ভীর মুখে বল–আমার বয়েই গেছে ,ঢপ দিতে,তুই জিজ্ঞেস করে নিতে পারিস –
অর্কপ্রিয়া লাজুক হাসে-ধেৎ আমার বুঝি লজ্জা করে না?
রাজা বিমোহিত হয়ে লজ্জায় রাঙ্গা অপরূপা অর্কপ্রিয়াকে দেখে নিজের আবেগকে সামলাতে পারেনা। এই প্রথম ,দু’হাতের সপ্রেম আলিঙ্গনে অর্কপ্রিয়াকে বুকের মাঝে টেনে নিয়ে কপালে,ওষ্ঠে আবেশে সোহাগে আচ্ছন্ন করে দিতে থাকে–