চশমা পরে পড়তে বসা মেয়েটা পড়তে ভালোবাসে। নিজের শহরে নিজের মতো বাঁচতে ভালোবাসে। আঠারো পেরিয়েছে ক-মাস আগেই।
ডিসেম্বরে দেখি এমন কত চশমা পরা মেয়ের বিয়ে হয়ে যায়, বাড়িতে উৎসব। যতই হোক, বাবা-মা যা করে মেয়ের ভালোর জন্যই করে।
গ্রামে হাইস্কুলের মাষ্টারমশাই আগেরদিন ছেলেকে ইংরেজি স্কুলে ভর্তি করে গ্রামে এসে ছেলেদের তার ছেলের ইংরেজি বলার গল্পঃ শোনায়। সবাই মুগ্ধ আর আপোস চোখে শোনে, ওদের বলা হয়েছে “বাংলা স্কুলে পড়ে আজকাল কিচ্ছু হয়না..”।
ফুটপাতে শুয়ে থাকে আধপাগল যুবতী মেয়েটা। বাবাও মৃত, অসুস্থ মা স্টেশনে ভিক্ষা করে। সেদিন রাতে স্টেশন থেকে খাবারের লোভ দেখিয়ে ডেকে নিয়ে গেলো কয়েকজন লোক, ভোররাতে ফিরলো।
কে জানে কি করতে নিয়ে গেছিলো, আজ সাত মাস হলো মেয়েটির মাসিক বন্ধ।
নাহ, আমি কিছু বলতে চাইনা এ-বিষয়ে, কেবল দু-এক কথা লিখে যেতে যায় প্রজন্মের কাছে, প্রাণপ্রিয় সভ্যতার প্রতি।