প্রহ্লাদ ভৌমিক
লেখক পরিচিতি
—————————
নাম : প্রহ্লাদ ভৌমিক
পিতাঃ স্বর্গীয় হরেন্দ্র চন্দ্র ভৌমিক। মাতাঃ স্বর্গীয় মানদা সুন্দরী ভৌমিক ।
জন্মঃ ৭ই মার্চ, ১৯৪৮সন। জন্মস্থানঃ পূর্ব পাকিস্তান(অধুনা বাংলাদেশ)। বর্তমান বাসস্থানঃ গ্ৰাম +পোষ্টঃ ঘুঘুমারী, জেলাঃ কোচবিহার, পশ্চিমবঙ্গ,ভারত। শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ স্নাতক(বাংলা সাম্মানিক) । কর্ম জীবনঃ ১৯৭৩ — ২০০৮(উত্তর বঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ কর্পোরেশন, কোচবিহার) লেখালেখির সূচনা স্কুল জীবন থেকে । প্রথম কবিতা প্রকাশ স্কুল ম্যাগাজিনে ৬০ দশকে। সাময়িক পত্র পত্রিকায় লেখা প্রকাশ ৭০ দশকে। প্রকাশিত কাব্যগ্ৰন্থঃ (১) ধুলো মাটির অক্ষর-২০০২ (২) জীবনের বর্ণমালা-২০০৪ পত্র পত্রিকা সম্পাদনাঃ বৈতালিক ও কংকাল(হাতে লেখা পত্রিকা)। যুগ্ম সম্পাদনাঃ লুব্ধক । নিজের একক সম্পাদনাঃ সরীসৃপ ।
পুরস্কার ও সম্মাননাঃ (১) কোচবিহার ১নং পঞ্চায়েত সমিতির “কবি সম্মাননা”ও সংবর্ধনা ।(২) ত্রিবৃত্ত অ্যাওয়ার্ড একাদেমি কোচবিহার কর্তৃক”আধুনিক সাহিত্য পুরস্কার-২০১৭ (৩) কোচবিহার টাইমস পত্রিকা সম্মাননা-২০১৮ (৪) তোর্ষা তরঙ্গ পত্রিকা সম্মাননা-২০২৯
জীবন ও সাহিত্য সম্পর্কে ব্যক্তিগত দর্শনঃ জীবন শব্দটা এই পৃথিবীর প্রতিনিধিত্বকারী একটি শব্দ । এই পৃথিবী ও প্রকৃতির সব কিছুকেই যাপন করে জীবন । সাহিত্য যেখানে সৃষ্টি ও নির্মাণ কর্মের বিষয় ও চিন্তা-চেতনা-ভাবের ফসল,সাহিত্যের সমস্ত উপাদানেরই অবস্থান জীবনের কেন্দ্রবিন্দুতে,এই কেন্দ্র বিন্দু থেকে সৃষ্ট ও নির্মিত সত্য ও সুন্দরই প্রকৃত সাহিত্য । সাহিত্যের জন্য সাহিত্য নয়,সাহিত্য জীবনের জন্য । এক কথায় সাহিত্য জীবন দর্পন ।
প্রহ্লাদ ভৌমিকের কবিতা || প্রহ্লাদ ভৌমিকের গল্প
লেখকের সৃষ্টি
অন্যদিন || Prahlad Bhaumik
এ’সময় তীব্র রহস্যময় সব মুহূর্তবিস্মিত পৃথিবীর অনন্ত কোলাহলেএই পৃথিবীর মুহূর্ত
ভাব,ভাবনা || Prahlad Bhaumik
কিছুটা বিলম্ব হলেও দীর্ঘ টালবাহানার মধ্যেইএকটা জীবন পেল এই সদ্যোজাত
রুক্ষতা || Prahlad Bhaumik
ভীষণ রুক্ষ হয়ে আছে উত্তাল সময়ের উত্তপ্ত রুক্ষতাচারপাশ গভীর ছুঁয়ে
জন্ম ও জীবন || Prahlad Bhaumik
বীজের অঙ্কুরোদগমের নামই জন্মআর জন্ম মানেই জীবনজন্ম তো ঘনঘোর আঁধার
মানুষ মানুষকে || Prahlad Bhaumik
পেটে আগুন লেগেই আছে দিনরাতএই অনন্ত আগুন নিভিয়ে দিতে দিতেইআমরা
বিভাব || Prahlad Bhaumik
দিনরাত বয়ে যাওয়া নদীর যতটা জলের উচ্ছ্বাসতার অন্তত কিছুটা অবগাহন
পথ || Prahlad Bhaumik
আমি হারিয়ে ফেলেছি পথযে পথকখনও নিজের হারিয়ে যাবার দুঃখজানায়নি এতটুকু
শুদ্ধি || Prahlad Bhaumik
অরণ্যের চারপাশে ছড়িয়ে থাকা নিষিদ্ধ জ্যোৎস্নায়গাঢ় হয়ে উঠছে নিরিবিলি নির্জনতাহঠাৎ
যাপন || Prahlad Bhaumik
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেই নিজেকে দেখেছিবারবার শৈশব ফিরে তাকায়নদীর সামনে
নদীচরিত || Prahlad Bhaumik
জল বাড়লেই নদীতে বর্ষার অভিসারের কথা ওঠেবীজতলার চাষিরা খেত খামারেচাষবাসের
সভ্যতা নির্মাণ || Prahlad Bhaumik
মাথার উপর সেই যে ঝুলছে অত বড় আকাশটাঝুলছে তো ঝুলছেইঝুলেই
জল পরী || Prahlad Bhaumik
দেখা – না দেখা স্বপ্নগুলোর ভেতর দিয়েযেতে যেতেপথচারী হওয়ার আগেই
বৃষ্টি || Prahlad Bhaumik
বৃষ্টি নামলেই পারাপারের রাস্তাগুলো চোখে ভাসেবৃষ্টি জলের আশ্চর্য কুহক ঢেকে
দায়বদ্ধতা || Prahlad Bhaumik
মুখোশে আড়াল রেখেছ মুখদরপরদায় দরদালানঘর ও বাড়ীর দরজা জানালাহাহাকার লুকোবে
আত্মপদাবলি || Prahlad Bhaumik
অনেকটা শ্যামল সন্ধ্যার গানে ভেসে আসার মতোআমার চারপাশ ঘিরে যখন
নষ্টালজিয়া || Prahlad Bhaumik
যখন শুরুতে খুব কৌতুহলী হইএবং ভীষণ উত্তেজনা অনুভব করিতখন অদৃশ্য
পুনর্জন্ম || Prahlad Bhaumik
যে ফুল কখনও দিনে ফোটেনাসে ফুলের মেধাবী গন্ধে শব্দনীড় খুঁজে
শোক || Prahlad Bhaumik
সরকারি ত্রাণ বিলি চলছেলাইনে হাতে হাতে দেওয়া হচ্ছেশুকনো খাবারের রঙিন
আকর্ষ || Prahlad Bhaumik
কোনও কিছু দেখার আগে নাদেখাগুলো যেমনকল্পনায় বাস্তবের মতো ওঠে আসেকোনও
ব্যক্তিগত পদাবলি || Prahlad Bhaumik
আমার সমস্ত ভালোলাগার পর যেটুকু মন্দলাগারতার তিন ভাগ জল ,একভাগ
বাইশে শ্রাবণে || Prahlad Bhaumik
বিশ্বাসই হয়না, মনেও হয়না তুমি নেই‘কবিদের মৃত্যু নেই’, তোমারও মৃত্যু
লড়াই || Prahlad Bhaumik
বুকের ভেতরঅনেকটা জমি পতিতবুকের ভেতরঅনেকটা জুড়ে অতীতপতিত জমির দখল কাউকে
ঠিকানাবিহীন || Prahlad Bhaumik
ক্যানভাসে আঁকা ছিল ভোরের নরম রোদ্দুরকোকিলের কুহু ডাকে থই থই
প্রতিচ্ছবি || Prahlad Bhaumik
ঘন ঘন লোডশেডিং’এ তিতিবিরক্ত মুহূর্তগুলোচারপাশের অন্ধকার হাতরিয়ে দেখে নেয়তারা নিজেরা
ঠিকানা || Prahlad Bhaumik
সদর্পে ছুঁয়েছি তোমার সব স্বপ্নঅধিকারে রেখেছি হাত হাতে,নির্ভয়েনির্ভিক বলেইআড়াল ভেঙেছি
যে যেরকম মানুষ || Prahlad Bhaumik
সকলেরই কিছু না কিছু বেদনার কথা থাকেআনন্দেরও থাকেসকলেরই কিছু না
আমি || Prahlad Bhaumik
স্বরচিত কবিতার মতো বানভাসি নদী যাপন করিদুঃস্বপ্নের রাত্রির মতো বিনিদ্র