গরমের ছুটিতে খালি-পায়ে যখন নাজিমদের বাড়িতে
লুডো খেলতে যাই, কুলসুল আপা রাস্তা পেরোবার ঢঙে
বাঁদিক-ডানদিক তাকিয়ে দুহাতে দড়াম করে দরজা বন্ধ করে দ্যান
আমায় অন্ধকার স্যাঁতস্যাঁতে ঘরে এক হ্যাঁচকায় টেনে নিয়ে ।
আমি বলি, ‘ভোজপুরি বলবেন, আমি উর্দু বুঝতে পারি না ।’
উনি বলেন, ‘তুই চোখ বোজ, তাহলেই বুঝতে পারবি,
এ তো খুব সহজ রে ।’ আমি চোখ বুজে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকি
একগাদা হাঁসমুর্গির মাঝে ।
কুলসুম আপা বলেন, ‘মুঝে দে দে রসিলে হোঁঠ, মাসুমানা
পেশানি, হসিঁ আঁখে কে ম্যায় একবার ফির রঙ্গিনিয়োঁ মেঁ
ঘর্খ হো জাউঁ…’
আমি বলি, ‘ধ্যাৎ কী করছেন কী, আমার লজ্জা করে ।’
উনি ওনার কালো মোটা ঠোঁটে বলতে থাকেন, ‘মেরি হস্তিকো
তেরি এক নজর আগোশ মেঁ লে লে হমেশা কে লিয়ে
ইস দাম মেঁ মহফুজ হো জাুঁ জিয়া-এ হুস্ন সে জুম্মত-এ দুনিয়া
মেঁ ন ফির আউঁ…’
আমি বলি, আঃ ছাড়ুন না, এমন করছেন কেন আপা ?’
উনি বলেন, ‘গুজিশতাঁ হসরতোঁ কে দাগ মেরে দিল সে
ধুল জায়েঁ…’
আমি বলি, ‘না না না…’
আপা ওনার ঘুমন্ত কন্ঠস্বরে, ‘ম্যায় আনে ওয়ালে গম কি
ফিকর সে আজাদ হো জাউঁ মেরে মাজি ও মুস্তকবিল সরাসর
মাভ হো যাঁয়ে মুঝে ওয়হ এক নজর, এক জাভেদানি সি
নজর দে দে ।’
আমি বললুম, ‘রোজ রোজ এরকম করেন কেন?’
উনি বললেন, ‘তবে যে তুই বলছিলিস উর্দু বুঝতে পারিস না!’