যে ফুল কখনও দিনে ফোটেনা
সে ফুলের মেধাবী গন্ধে শব্দনীড় খুঁজে পায়
উদভ্রান্ত কবি
শব্দ মাধুর্যে ভরিয়ে তোলে সে জীবনের সম্ভার
ও কবির একান্ত ব্যক্তিগত আকুতি
এই সব কিছুর মধ্যেই আমি অবিরাম মেতে থাকি
শব্দে শব্দে ভেসে থাকি ,ডুবে থাকি আমি
শব্দময়তার উত্তাল ঢেউ স্রোতে…
সভ্যতার আড়াল থেকে এখন আর কেউ
কোনও পথিক প্রকৃত বিদ্রোহে তেমন করে ডাকেনা
কেউ ডেকে বলেনা এসো,ব্যক্তিগত আড়াল ভেঙে
আমরা নগ্ন হই, অগ্নিশুদ্ধ হই
আসলে ওরা নিজেরাই জানেনা যে
তা না হলে ‘ফিরে পাওয়া যাবেনা হারিয়ে যাওয়া
কোন সংবেদনশীলতা’…
জানি, প্রকৃত বিদ্রোহের শেষে অপেক্ষা করে আছে
‘নতুন এক পৃথিবী’, ‘নতুন এক জীবন যাপন’
আর এই নতুনে দীপ্ত আলোর সিঁড়ি ভেঙে ভেঙে
নতুন এক সময়ের দিকে ক্রমশঃ এগিয়ে যাওয়া
আমি অবরুদ্ধতার সমস্ত চক্রব্যুহ ভেদ করে
চরম বাস্তবে এসে নিজেই নিজের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছি
এবার আমার ভাষা,শব্দ ও বর্ণমালাকে একে একে
জীবনের সত্যের সাথে মিলিয়ে দিতে চাই
শিল্পের সত্যে…
সেই সত্যের নিপুণ পথচিহ্ন এঁকে দিচ্ছে মহাকাল
আমি সেই মহিমায় রোজ নিজেকে ঋদ্ধ
ও পরিশুদ্ধ করতে থাকি
আর দিকনির্দেশক সশব্দ বোধগুলো আমাকে
ওই নিপুণ পথচিহ্ন আঁকা পরম সত্যের দিকে
ক্রমাগত এগিয়ে দেয় হাত ধরে
আমার ভেতরে এক মুক্তমনের তিতির ডেকে ওঠে
অলৌকিক এক আলোর বিভায় আমার পুনর্জন্ম হয় ।