জন্মেছিলাম নদীর তীরে
ছোট্ট এক গাঁয় ,
পানসী তরী বাইতো সেথা
শাল পিয়ালের ছায় ।
অংশুমানের দীপ্ত তেজে
প্রফুল্ল সে মন ,
পুণ্যতীর্থ জন্মভূমি
স্নেহের সে বন্ধন ।
গোধূলী বেলার রক্তিম প্রভা
পবিত্র ধরণী ,
মিষ্টি হাসির মুক্তকেশী
স্নিগ্ধ জননী ।
সাঁঝের প্রদীপ শঙ্খধ্বনি
জোনাক জ্বলা রাতে ,
তিমির রজনী অপসারিত
ঊষা রাঙানো প্রাতে ।
কুসুমরাজি অর্ঘ্য সাজিয়ে
করে দেবতার স্তব ,
দিগন্ত জোড়া সুশোভিত পটে
দুনয়ন সার্থক ।
নীলগগনে পুঞ্জ মেঘের
আনমনা খেলা ধূলা ,
নির্ভীক চিতে উন্নত শিরে
দুর্বার পথ চলা ।
শরৎকালে শিউলির ঘ্রাণ
কাশে কাশে লাগে দোলা ,
ঢাকের বাদ্যি ঢ্যাং কুড়াকুড়্
পূজোয় প্রাণের মেলা ।
চৈত্রমাসে শিবের গাজন
স্পন্দন হৃদ মাঝে ,
আকুল হিয়ায় নবপ্রেরণায়
নবরূপে গ্রাম সাজে ।
জন্ম আমার সার্থক হলো
সবুজাভ প্রান্তর ,
সৈনিক ভাই প্রেরণা যেথায়
পবিত্র অন্তর ।
হে রুদ্র , দূর করো আজি
যত সংকট ত্রাস ,
জাদুকর তুমি তোমার করুণা
ধরা মাঝে বর্ষাক ।