Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।
Home » পারাপার (১৯৯৩) || Humayun Ahmed » Page 10

পারাপার (১৯৯৩) || Humayun Ahmed

পারাপার – ১০

বড় খালা সাধারণত দশটা বাজার আগেই ঘুমিয়ে পড়েন। এখন সাড়ে এগারটা বাজে। এত রাত পর্যন্ত তিনি কখনোই জাগেন না।আজ জেগে ছিলেন। কলিংবেল বাজতেই নিজে দরজা খুললেন। আমি বললাম, তুমি দোতলা থেকে নামলে কেন? আর লোকজন কোথায়?
বড় খালা কাঁদো-কাঁদো গলায় বললেন, তোর খালুজান সেই যে গিয়েছে আর ফেরে নি। চারদিন হয়ে গেছে। টেলিফোন করে নি, অফিসেও যায় নি।
অফিসে যাবে কেন? সেখানে তো শুনেছি চাকরি নেই।
চাকরি যাওয়া এত সোজা? ওকে ছাড়া অফিস চলবে? ও একা যত কাজ করে অফিসের পুরো স্টাফ তা করে না।
তবু অফিসে বসে মদ্যপান।
অফিসে চা খেলে দোষ হয় না, আর একটু-আধটু ইয়ে খেলে দোষ হয়ে গেল?
একটু-আধটু না খালা, গ্যালন গ্যালন…
চুপ কর।
বড় খালার মুখ কাঁদো-কাঁদো। মনে হয় কাঁদছিলেন। তাঁর পরিবর্তন বিস্ময়কর। আমি বললাম, খালূজান ছাড়াও তো ঘরে লোকজন
ছিল। তারা কোথায়?
কাজের লোকজনের কথা বলছিস? দোকা আমি পাব কোথায়?
রাতে ভয় লাগে না? এত বড় বাড়ি একা একা থাক…
ভয় তো লাগবেই। ভয়ের জন্যেই তো জেগে ছিলাম। দুটা সিডাকসিন খেয়েছি, তারপরেও ঘুম আসছে না।
আরো দুটা খাও। আজকাল সিডাকসিনেও ভেজাল। ঘুম আসার বদলে ঘুম চলে যায়।
রাতদুপুরে ফাজলামি করিস না তো।
ফাজলামি করছি না খালা। আমি সিরিয়াস। আমার মনে হয় না একা একা তোমার এত বড় একটা বাড়িতে থাকা উচিত। শেষে ভূত-টূত কিছু একটা দেখে বাথরুমে দাঁত কপাটি লেগে পড়ে থাকবে। খালা, তুমি বরং কোনো আত্মীয়স্বজনের বাসায় চলে যাও। বাড়িতে বিরাট তালা লাগিয়ে দাও।
আমি অন্যের বাসায় গিয়ে উঠি, আর তোর খালু ফিরে এসে দেখুক বাড়িতে কেউ নেই, তালা ঝুলছে। আজগুবি উপদেশ দিতে তোকে কে বলছে?
তাহলে বরং এইখানেই থাক,এবং একা একা থাক। একা একা থাকা অভ্যাস হবারও দরকার আছে। খালুজান তোমার দশ বছরের বড়। সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চললে তিনি বিদেয় হবেন তোমার দশ বছর আগে। খুব কম করে হলেও তোমাকে দশ বছর থাকতে হবে একা একা। মেয়েরা আবার শুনেছি পুরুষদের চেয়ে বেশিদিন বাঁচে। এমনিতে নাকি শারীরিকভাবে দুর্বল। বাঁচার সময় আবার বেশিদিন বাঁচছে—কোনো মানে হয়?
তুই ক্রমাগহ আজেবাজে কথা বলে যাচ্ছিস কেন?
চলে যাব?
চলে যা।
আর ধর, হঠাৎ পথেঘাটে খালুজানের দেখা পেয়ে যাই তাহলে কী করব? ধরে নিয়ে আসব? আমি তো পথে পথেই ঘুরি। আমার জন্যে দেখা পাওয়াটা সহজ।
কাউকে আনতে হবে না। নিজ থেকে এলে আসবে, না এলে নাই।
তাহলে আমি বিদেয় হই খালা। তুমি দরজা-টরজা লাগিয়ে জেগে বসে থাক।
রাতে কিছু খেয়েছিস?
খেয়েছি।
শুধু মুখে যাবি কেন? হালুয়া খেয়ে যা।
হালুয়া আমি খাই না।
ভালো হালুয়া। পেঁপের হালুয়া।
পেঁপের আবার হালুয়া হয় নাকি?
হয়। খেতে মোরব্বার মতো লাগে। তোর খালুজান খুব পছন্দ করে খায়।
তুমি কি এখন রাত জেগে জেগে খালুজানের পছন্দের খাবার বানাও?
গাধার মতো কথা বলবি না। ঘরে পেঁপে ছিল। নষ্ট হচ্ছিল, হালুয়া বানিয়ে রেখে দিয়েছি—খাবি? এনে দেই পিরিচে করে?
উঁহুঁ, তুমি বরং পলিথিনের ব্যাগে করে খানিকটা দিয়ে দাও। মাঝরাতে খিদে পেলে তখন খেয়ে নে।
বড় খালা আমাকে গেট পর্যন্ত এগিয়ে দিতে এলেন। আমি বললাম, তোমার যদি একা থাকতে ভয় লাগে তাহলে মুখ ফুটে বলো আমি থেকে যাব।
কাউকে থাকতে হবে না। আর তুই ঠিকই বলেছিস, একা একা থাকার অভ্যাস তো করতেই হবে।
যাই খালা?
যা। আর শোন, তুই তো পথে পথেই ঘুরিস। একটু চোখকান খোলা রাখিস। তোর খালুজানকে দেখলে….
অ্যারেস্ট করে নিয়ে আসব?
নিয়ে আসতে হবে না। লুকিয়ে লুকিয়ে পেছনে পেছনে যাবি? কোথায় থাকে জেনে আসবি, তারপর আমি গিয়ে ধরব।
এটা মন্দ না। খালা যাই।
যা। ভালো কথা, তুই নাকি পবিত্র মানুষ খুঁজে বেড়াচ্ছিস?
কে বলল?
কে বলেছে খেয়াল নেই। তুই নাকি কী একটা লিস্ট বানিয়েছিস?
হুঁ।
কী করবি পবিত্র মানুষ দিয়ে?
চিড়িখানায় রাখা যায় কি না সেই চেষ্টা করব। পবিত্র মানুষ বলতে গেলে রেয়ার স্পেসিস হয়ে গেছে। দুর্লভ প্রাণী, চীনের পাণ্ডার মতো…
সবসময় সবার সঙ্গে রসিকতা করিস না হিমু। মা-খালাদের সঙ্গে রসিকতা করা যায় না।
আর করব না।
পবিত্র মানুষ পেয়েছিস খুঁজে?
একটা প্রিলিমিনারি লিস্ট তৈরি করেছি। এর মধ্যে বাছাই হচ্ছে…। সেমিফাইনালে চলে এসেছি….।
বড় খালা লজ্জিত গলায় বললেন, তোর খালুজানের নাম কি লিস্টেতে আছে?
আমি বিস্মিত হয়ে বললাম, তুমি কি চাও তার নাম লিস্টিতে থাকুক?
হুঁ। একজন স্ত্রীর পক্ষেই সম্ভব তার স্বামীকে পুরোপুরি জানা…আমি তাকে যতটুকু জানি তার নাম থাকা উচিত। হাসছিস কেন?
বড় খালুর নাম লিস্টিতে আছে। এবং আশ্চর্যের ব্যাপার কী জানো, তোমার নামও লিস্টিতে আছে।
সত্যি বলছিস?
কাগজটা পকেটে আছে। দেখতে চাও?
না। তোর কথা বিশ্বাস করছি। এত বড় সম্মান এর আগে আমাকে কেউ দেয় নি হিমু।
বড় খালা চোখ মুছতে লাগলেন।

মেসে ফিরে এসেছি। আমি শুয়েছি মেঝেতে পাটি পেতে। খালুজান খাটে বসে অন্ধকারে পেঁপের হালুয়া খাচ্ছেন।
আজ একটু শীত পড়েছে। পাটিতে শুয়ে শীত-শীত লাগছে। হিমালয়ের গুহায় সাধু-সন্ন্যাসীর নেংটি পরে কীভাবে থাকেন কে জানে? টেকনিকটা তাঁদের কাছে শিখে এসে আমাদের দেশের ফুটপাতের মানুষগুলোকে শিখিয়ে দিতে পারলে কাজ হতো। তারা পৌষমাসের নিদারুণ শীত হাসিমুখে পার করে দিতে পারত।
খাটের উপর থেকে বড় খালু ডাকলেন, হিমু!
আমি কিছু বললাম না, তবে নড়াচড়া করলাম যাতে তিনি বুঝতে পারেন আমি জেগে আছি।
পেঁপের হালুয়াটা তো অসাধারণ হয়েছে—চেখে দেখবি?
না।
জিনিসটা পুষ্টিকর। পেটের জন্যেও ভালো।
আমার পেট ভালোই আছে। আপনি খান পেট ঠিক করুন।
তোর বড় খালার অবস্থা কী দেখলি? আমার জন্যে খুব ব্যস্ত?
না।
সে কী! কিছুই বলে নি?
না।
মুখে না বললেও মনে মনে খুবই ব্যস্ত। পেঁপের হালুয়া-টালুয়া বানাচ্ছে দেখছিস না?
পেঁপে পচে যাচ্ছিল। হালুয়া বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দিয়েছে।
এইসব তুই বুঝবি না। বিয়ে করিস নি তো, বুঝবি কীভাবে? আমি তো বলতে গেলে একটা থার্ডক্লাস লোক। সেই আমার জন্যে তার টান…
ঘুমান খালুজান।
অসাধারণ একজন মহিলা।
আমি হাই তুলতে তুলতে বললাম, অসাধারণের কী দেখলেন? তাঁর ঝগড়া করার ক্ষমতাকে যদি অসাধারণ বলেন তাহলে ভিন্ন কথা। বাসায় গিয়ে দেখি তিনি একা,কাজের সব কটা মানুষ বিদেয় করে দিয়েছেন।
উপরে উপরে দেখে তুই কিছু বুঝবি না। উপরে উপরে দেখলে তাকে ঝগড়াটে মনে হবে। কিন্তু ব্যাপার ভিন্ন। শুনবি?
না,ঘুম পাচ্ছে?
ইয়াং ম্যান, বারটা বাজতেই ঘুমিয়ে পড়বি এটা কেমন কথা। শোন্ না—তোর বড় খালা করে কী, অবিবাহিতা যুবতী সব মেয়ে রাখে কাজের মেয়ে হিসেবে। তোর খালার যুক্তি হচ্ছে, এই জাতীয় মেয়েগুলোকে কেউ রাখতে চায় না। এরা কাজ পায় না। শেষটায় দুষ্ট লোকের হাতে পড়ে। শুনছিস আমার কথা, না ঘুমিয়ে পড়েছিস?
শুনছি।
তারপর তোর খালা খোঁজখবর করে এদের বিয়ে দেয়। প্রচুর খরচপাতি করে।
ছেলে পায় কোথায়?
যোগাড় করে। টাকা দিয়ে কিনে নেয় বলতে পারিস। কাউকে রিকশা কিনে দেয়। কাউকে পান-বিড়ির দোকন দিয়ে দেয়…কাউকে চাকরি দিয়ে দেয়। এই পর্যন্ত আটটা মেয়ে পার করেছে।
এই ব্যাপারটা জানতাম না।
বাইরে থেকে কিছুই বোঝা যায় না রে হিমু। কিছুই বোঝা যায় না।ডাবের শক্ত খোসা দেখে কে বলবে ভেতরে টলটলে পানি? তুই এক কাজ কর রে হিমু, তো ঐ লিস্টিতে তোর খালার নামটা তুলে দে…।
আচ্ছা দেব। আপনি ঘুমান।
ঘুম আসছে না।
বড় খালার কাছে যেতে চান?
তুই কি মনে করিস যাব? তুই যা বলবি তাই করব।
তাহলে ঘুমিয়ে পড়ুন।
একটু আগে না বললাম, ঘুম আসছে না।
তাহলে উঠে শার্ট গায়ে দিন। চলুন দিয়ে আসি।
আমাকে দেখে রাতদুপুরে আবার হইচই শুরু করে কি না। আল্লাহ যা একটা মেজাজ এই মহিলাকে দিয়েছে।
ভয় লাগলে থাক। দিনেরবেলায় যাওয়া যাবে।
বড় খালু উঠে বাতি জ্বালালেন। শার্ট গায়ে দিলেন। আনন্দিত গলায় বললেন, রাত তেমন হয় নি, তাছাড়া চাঁদনি পসর রাত।

বড় খালুকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে মনে হলো—এখন নিজের ঘরে ফিরে যাবার কোনো মানে হয় না। বরং মুনশি বদরুদ্দিনের মেয়েটাকে দেখে আসা যাক। তার ব্যবস্থা কী হয়েছে জেনে আসি। রূপার সঙ্গে নিশ্চয়ই দেখা হবে না। সে এতক্ষণ বসে থাকবে না।
ক্লিনিকের গেটের কাছে আমার ড্রাইভার ছামছু চিন্তিত মুখে হাঁটাহাঁটি করছে। তার এতক্ষণ এখানে থাকার কথা না। রাত এগারটার পর তার ছুটি হয়ে যায়। সে চলে যায় ইয়াকুব আলি সাহেবর বাড়ি।
ছামছু আমাকে দেখে ছুটে এলো। মনে হচ্ছে সে হাতে চাঁদ পেয়েছে।
কী ব্যাপার ছামছু? বাড়ি যাও নি?
গিয়েছিলাম স্যার আপনার জন্য আসছি।
বলো কী ব্যাপার?
বাড়িতে গিয়ে দেখি বড় স্যারের অবস্থা খুব খারাপ। ডাক্তাররা রক্ত দিবেন কিন্তু স্যার আপনার আনা রক্ত ছাড়া অন্য রক্ত নিবেন না। আপনাকে স্যার সবাই পাগলের মতো খুঁজতেছে।
তাই নাকি?
জি স্যার। ম্যানেজার সাহেব আপনার মেসে বসে আছেন। স্যার দেরি করবেন না, চলেন। এক্ষণ চলেন।
এত ব্যস্ত হলে তো চলবে না ছামছু। খালি হাতে উপস্থিত হলো কোনো লাভ নেই। রক্ত নিয়ে উপস্থিত হতে হবে। আমি রক্তের ব্যবস্থা করি।
যা করার একটু তাড়াতাড়ি করেন স্যার।
আমি ক্লিনিকে ঢুকলাম। লবিতে রূপা বসে আছে। শুধু একটি মাত্র মেয়ের কারণে পুরো লবি আলো হয়ে আছে। মানুষের শীরর হলো তার মনের আয়না।
একজন পবিত্র মানুষের পবিত্রতা তার শরীরে অবশ্যই পড়বে। সে হবে আলোর মতো। আলো যেমন চারপাশকে আলোকিত করে, একজন পবিত্র মানুষও তার চারপাশের মানুষদের আলোকিত করে তুলবে।
রূপা!
রূপা চমকে তাকাল। আমি হালকা গলায় বললাম, তুমি এখনো ক্লিনিকে, ব্যাপার কী?
রূপা বিরক্ত মুখে বলল, তুমি কী যে ঝামেলা তৈরি করো। বসে না থেকে আমি করব কী? মেয়েটার তো অবস্থা খুব খারাপ। আমি এসে দেখি এখন মার যায়, এখন মারা যায় অবস্থা। অক্সিজেন দেয়া হচ্ছে। এত বড় ক্লিনিক কিন্তু কোনো স্পেশালিস্ট ডাক্তার নেই—কিচ্ছু নেই…
তুমি ডাক্তার যোগাড়ে লেগে গেলে?
এ ছাড়া কী করব?
যোগাড় হয়েছে?
হয়েছে—ডাক্তররা একটা বোর্ডের মতো করেছেন। বোর্ড মিটিং বসিয়েছেন। মেয়েটাকে মনে হয় দেশের বাইরে নিতে হবে।
আমি হাসলাম।
রূপা রাগী গলায় বলল, হাসছ কেন?
আচ্ছা যাও আর হাসব না। আজ যে পূর্ণিমা সেটা জানো?
না জানি না। অমাবস্যা-পূর্ণিমার হিসাব আমি রাখি না।
পূর্ণিমায় তোমার সঙ্গে জয়দেবপুরের বাড়িতে যাবার কথা ছিল ভুলে গেছ?
হ্যাঁ ভুলে গেছি। তোমার কোনো কথায় আমি কোনো গুরুত্ব দেই না। রাগ করলে?
না রাগ করি নি।
তুমি কি সত্যি সত্যি জয়দেবপুর যেতে চাও?
হুঁ।
হুঁ না স্পষ্ট করে বলো।
যেতে চাই।
মেয়েটাকে মরণের মুখোমুখি ফেলে রেখো তোমার সঙ্গে জোছনা দেখতে যাব?
হ্যাঁ। কারণ তুমি এখানে থেকে কিছু করতে পারবে না। তুমি ডাক্তার নও। তুমি যা করার করছে। তারচেয়েও বড় কথা—মেয়েটা বেঁচে যাবে।
তোমার সেই বিখ্যাত ইনট্যুশন বলছে মেয়েটা বেঁচে যাবে?
হু।
নিজেকে কী ভাবো তুমি? মহাপুরুষ?
আমি হাসলাম। রূপা ভুরু কুঁচকে বলল, তোমার বিখ্যাত ইনট্যুশন আর কী বলছে?
আমার বিখ্যাত ইনট্যুশন বলছে—তুমি আমার সঙ্গে আজ জোছনা দেখতে যাবে। চল আর দেরি করা ঠিক হবে না।
আমাকে বাসা হয়ে যেতে হবে। বাসায় বলতে হবে। কাপড় বদলাতে হবে। তোমার সঙ্গে যাচ্ছি সুন্দর একটা কাপড় পরব না?
যা তুমি পরে আছ তারচে’ সুন্দর আর কোনো পোশাক এ পৃথিবীতে তৈরি হয় নি। তাছাড়া—পথে আমরা কিছুক্ষণের জন্যে থামব।
রূপা বিস্মিত হয়ে বলল, পথে থামব মানে? পথে কোথায় থামব?
মিনিট দশেকের জন্যে থামব।
তুমি তাহলে সত্যি সত্যি যাচ্ছ আমার সঙ্গে? আমার এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না।
রূপা অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নিল। মনে হয় সে কেঁদে ফেলেছে।

Pages: 1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *