বহু কষ্টে অর্জিত এই সঙ্ঘবদ্ধ প্রজাতন্ত্র
শুধু কি রবে দিল্লির রাজপথেই সুসজ্জিত !!
সামরিক, আধা-সামরিক বাহিনী সাথে
রঙিন বর্ণাঢ্যে তেরঙ্গা, কুচকাওয়াজ সুশোভিত!
কেনো তবে ছেঁড়া-ফাটা মানচিত্রে দেখি
রক্তচক্ষুর বর্বরোচিত নির্দয় প্রদর্শনী!!
লেলিহান আগুন আলিঙ্গনে তছনছ গণতন্ত্র
ক্ষুধার্ত দেহগুলোর অস্থিমজ্জায় উদ্ধত তর্জনী!
বিনয়-বাদল-দীনেশের সংগ্রামী ভারতভূমিতে
হিংসা-বিভেদের জোয়ার ভাঙছে গণতান্ত্রিক কোষাগার,
বিবেকের চক্ষু কাঁদে নগ্ন-নিষিক্ত রাজপথে
শূন্য কফিনবন্দি আজ স্বাধীনতার অধিকার।
বেয়াদবির আদবে বিবর্ণ মাংসের পাহাড়
গলিত বিশ্বাসের খাদে নোনা হয়ে পচে,
শ্মশানের চিতায় সাজে মানুষের বঞ্চিত আবদার
দগ্ধ প্রজাতন্ত্রে নির্লজ্জ দর্শকেরা নিশ্চুপ ভেজে।
আগামীতে ঝরা অন্ধকারে পলাশীর মাঠে
রক্তকরবীর নিষিক্ত ডিম্বাণু হয়তো বা পড়ে রবে,
কৃষক শ্রমিক ভবঘুরের স্বতন্ত্র ভবিষ্যৎ জমা
সবল সমাজতন্ত্র আর স্বৈরাচারের সন্ত্রাসী মনোভাবে।
ক্ষমতা, উন্নয়ন, নির্বাচন, রাজনীতির অন্তরীক্ষে
দলিতের দস্তখত উচ্চ- কম্পাঙ্কে আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে,
শোষক-তোষক অক্ষ-দ্রাঘিমা ছাড়িয়ে
মিশেছে নিষ্ফলা ভূমিতে ত্রাসের আস্ফালন হয়ে।
পারমাণবিক শক্তির মত পৃথিবী জেগে উঠলে
আবার হয়তো বয়ে যাবে প্রবল প্রলয়ে গণতন্ত্র,
পারস্পরিক শত্রুতা ঝেড়ে ফেলে দুর্বার গতিতে
আত্মার সম্মেলনে আসবে আবার নির্ভীক প্রজাতন্ত্র।