বাংলা আমার মা, বাংলা আমার ভাষা।বাংলা আমার গর্ব, আমার অহংকার।

আমি যদি হই গহীন অরণ্য, কিংবা হই নদী,বয়েই চলি আপন

আমরা নারী, নারী ভালোবাসলে না কি নদী হয়ে যায়! সবকিছু

এমন বর্ষন মুখর রাতে আমার তোমাকেই মনে পড়ছে।এক নাগাড়ে বৃষ্টির

ফেলে আসা শতাব্দীর যা কিছু গ্লানি, রোগ,জ্বরা,ব্যাধি, দুঃখ শোক সব

তুমি ভালোবাসলে,আমি লতা পাতায় জড়িয়ে পর্ণমোচী দিয়ে ঘেরা এক স্বপ্নের

ধরো,সারাটা জীবন হাসি গল্পে, রাগ অভিমানে,সুখে দুঃখে কাটিয়ে দেবার পর

জীবনের গল্প কোনো এক জায়গায় স্থির থাকে না।জীবন যেন বহতা

গঙ্গাবক্ষে যে গোধূলি রঙে রাঙানো আলো,কমলা আভায় মায়ামাখা আকাশ অনন্য

যেমন করে হেমন্তের শীত ঘন হয়ে এলে দীঘির জল হিমশীতল

যতই তোমায় বলি,আমি তোমার কবিতার প্রেমে পড়ি।আমায় প্রেম পায় না।আমারা

একটু খানি প্রেম, আর একটু খানি অভিমান।এই নিয়েই তোমার আমার

সেই মেঘবালিক, দুটি বিনুনি ঝুলিয়ে তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে হারিয়ে যেতো,যেখানে

বোগেনভেলিয়া তোমার রূপে নয়, রূপ সে তো ক্ষণিকের!তোমার ওই উজ্জ্বল

বলেছিলে,দেখা হবে কোন এক রোদেলা সকালে, মেঘলা দুপুরে, তুমি আমি

তুমি যখন যেখানেই যাও, মনে মনে আমি তোমার সঙ্গে থাকি!মেঘ

তুই আমার কাছে শ্রাবণ ভেজা সন্ধ্যা চাইলি,তোর কাছে আমি বৃষ্টি

টলটলে জলরাশি তে বয়ে চলে নাম না জানা এক নদী।

রাত জাগে এই ভাবুক মন, কারণ অকারণ,সে শোনে না কোন

এই যে,একবুক যন্ত্রণা উপহার দিলে তুমি আমায় দু হাত ভরে!মাটিতে

ওই দেখো চেয়ে দূরের ওই নীল আকাশ ছুঁয়ে বলাকারা যায়

কিছু কিছু ব্যথা বুকের ভিতর এমনই জমতে থাকুক,কারণে অকারণে।তুমি কষ্টফুল

মেঘ বলে তুই ডাকিস কাকে? মেঘ মানেই তো অনন্ত জলরাশি,

জীবন যে রকম সকালটা আজ কেমন কুয়াশা মাখা। রোদ তেমন

মেঘ মল্লারের দেশে গারো,খাসি ,জয়ন্তীয়া পাহাড়ে ঘেরা ছোট গ্রাম চেরাপুঞ্জি।

মুক্তি পুর্নিমার রাত, দুধ সাদা জোছনায় ভেসে যাচ্ছে চরাচর। সমুদ্রের

অচেনা কুহেলিকা রাতের আকাশে ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘ জমে আছে। বাতাস

বড়দিনের রাত বড়দিনের রাত। শীতের ঝলমলে চাদর জড়িয়ে কুয়াশার আবরণ

যাতায়াত প্রিয়তোষ বাবু স্কুল থেকে রোজ ফেরেন নামখানা লোকালে। সোনারপুর

গল্প হলেও সত্যি রোজ সন্ধ্যে নামলে পাখি ছাদে যায়। স্বর্গীয়

আমার এমন একটা তুই চাই।সেই তুই টা কখনো হবে তুমিকখনো

সুদীর্ঘ বটবৃক্ষের মতো দাঁড়িয়ে আছো সেই অনাদি অনন্ত কাল ধরে।

তোমার সাথে আমার দেখা হবে কবে?ভ্রমর কি সে কথা জানে?ফুলেদের

নীল আকাশের নীরব কথা, শিশির ভেজা ব্যাকুলতা একলা থাকায়। শ্রাবন

বারে বারে কেন যে তোমায় ভালোবেসে ফেলি জানি না!আমার এমন

তোমাতে আমি দ্রবিভূত হতে চেয়েছিলাম,নিজের ইচ্ছায় মৃত্যু কে বরণ করে

এমন শ্রাবণ দিনে আকাশের বুকে একতারা টিরতারে বাজে বর্ষার গান,রিমঝিম

আজ সারাটা দিন আকাশ জুড়ে বাদলা মেঘের বৃষ্টি।চল না রে,একটু

আকাশের বুকে মেঘ ডাকে।মেঘ ডাকলেই কেউ যেন কাঁদে, সারাটিক্ষণ বুকেরমধ্যে