আজকাল কেন যে এমন হয় প্রায়
আমার অজ্ঞাতে, বোঝা দায়। জন্ম এই শহরেই,
তবু মনে পড়ে ঘন ঘন প্রজাপতিময় ক্ষেত,
একটি পুকুর, ভেজা ঘাট, বাঁশবাগানের গাঢ়
ঘোমটার ফাঁকে লাজনম্র রূপসী বধূর মুখ-
মণ্ডলের মতো চাঁদ, প্রবীণ চাচার
মধুর আজান দাদাজানের বানানো মসজিদে
নিবিড় দাঁড়িয়ে আর কোনও পথিকের চলে যাওয়া
পুকুরের পাড় ঘেঁষে। শহরে আমার ছোট ঘরে
পাড়াতলী গেরামের স্মৃতিজাগানিয়া বংশীধ্বনি ভেসে আসে।
মনে পড়ে, খুব বেশি মনে পড়ে মেঘনাতীরের
পাড়াতলী, তবু বছরের পর বছর যাই না সেই গাঁয়।
আমার এ জন্মশহর ঢাকা আর পিতা,
পিতামহদের রৌদ্র-জ্যোৎস্না-ছায়াময়, আজও বিদ্যুৎবিহীন
প্রগাঢ় রহস্যছাওয়া পাড়াগাঁর দোটানায় বাঁচি। ইদানীং
পাড়াতলী পুরানো স্মৃতির মতো নিত্য বেশি টানে।