সাত শতাব্দীর মতো দীর্ঘ সাত দিন পর নিঃশব্দে এসে তুমি
জানতে চাও : ‘আমাকে কি একবারও মনে পড়েছে তোমার?’
–না; শুধু রক্তে কিছু মুমূর্ষা ও গোঙানি দেখা দিয়েছিলো
রোববার ভোর থেকে; ট্রাকের চাকার তলে ভিন্ন প্রজাপতির মতোন রিকশা
আর শিশুটিকে দেখেও কষ্ট পাই নি; বুঝতে পারি নি কিংকর্তব্যবিমূঢ়
আঙুলে আবার কখন উঠেছে সিগ্রেট। চারটি ইন্দ্রিয় সম্পূর্ণ বিকল
হ’য়ে খুব তীক্ষ্ণ হয়ে উঠেছিলো শ্রুতি–পৃথিবীর সমস্ত পায়ের শব্দের
বৈশিষ্ট্য ও পার্থক্য বুঝেছি, শুধু একজোড়া স্যাণ্ডালের ঠুমরি শুনি নি।
বুঝেছি যা-কিছু লিখেছে পাঁচ হাজার বছর ধরে মানুষ ও তাদের
দেবতারা–সবই অপাঠ্য, অন্তঃসারশূন্য, ভারি বস্তাপচা। আর অই
শ্রীরবীন্দ্রনাথকে মনে হয়েছে নিতান্তই গদ্যলেখক, শোচনীয় গৌণ এক কবি।
জীবন, বিজ্ঞান, কলা, রাজনীতি–সমস্ত কিছুকে মনে হয়েছে সে-অভিধানে
সংকলিত শব্দপুঞ্জ, যাতে প্রত্যেক শব্দের অর্থ–‘শূন্যতা, নিরর্থ প্রলাপ’।
–না; সাত শতাব্দী ধরে তোমাকে একবারও মনে পড়ে নি।